নাটোরের বড়াইগ্রামে চাঁদা না দেওয়ায় ১০টি দোকান দখলের অভিযোগে জামায়াত নেতা ও বিএনপি কর্মীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ভুক্তভোগী দোকানি বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, জামায়াতে ইসলামীর জোয়াড়ী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি ও আহম্মেদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে রুহুল আমিন (৪৫), তার ভাই জামায়াত কর্মী আজিমুদ্দিন (৪০), বিএনপি কর্মী হায়দার আলী (৪৮) ও তার বাবা মুজিবর রহমান (৭০)।
ভুক্তভোগীরা হলেন, উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কোরবান আলী, শাহ আলম হোসেন, মোতালেব হোসেন।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক দিন যাবত আহম্মেদপুর বাজারের ব্যবসায়িদের নিকট থেকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন জামায়াত নেতা রুহুল আমীন ও তার ভাইয়েরা।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা ৪০-৫০ জন সোমবার বেলা ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের মারপিট করে। একপর্যায়ে তারা তালা দিয়ে আমাদের ১০টি দোকান বন্ধ করে দেয়। আমরা নিরুপায় হয়ে পাঁচ হাজার টাকা করে চাঁদা দিয়ে রক্ষা পাই।
ভুক্তভোগী কোরবান আলী বলেন, বিকেলে সেনাবাহিনী ও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে ও দোকানগুলো খুলে দেয়।
জামায়াত নেতা রুহুল আমিন চাঁদা চাওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এই জমি আমাদের। দীর্ঘদিন ধরে তারা দখল করে আসছে। জমি ফেরত চাই, দেয় না। আমরা কোর্টে মামলা করেছি। কিন্তু এভাবে দোকানে তালা দেওয়া আমাদের ঠিক হয়নি।
বিএনপিকর্মী হায়দার আলী বলেন, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও জোয়াড়ী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে সমাধান করার জন্য একটি কমিটি করা হয়। সেখানে উভয় পক্ষই জামানত বাবদ ১৫ হাজার করে টাকা জমা দেয়। কিন্তু তারা সেটি মানে না। তাই আমরা দখল করেছি। কিন্তু সেটি আমাদের ঠিক হয়নি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, চাঁদা না দেওয়ায় ১০টি দোকানে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ভুক্তভোগী থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ