জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, মোংলা বন্দরের ব্যবহার বাড়াতে পারলে চট্টগ্রাম বন্দরের উপর চাপ কমবে, যানজট হ্রাস পাবে, কার্যক্রমের গতি বাড়বে এবং সার্বিক খরচও কমে আসবে। এতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা সরাসরি উপকৃত হবেন।
মঙ্গলবার সকালে মোংলা কাস্টমস হাউসের সুন্দরবন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে রাজস্ব বিষয়ক বৈঠক, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় এবং মোংলা বন্দরের জেটি এলাকা পরিদর্শন করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত তিন মাস বাজেট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, এখন মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বুঝতে চাই। মোংলা পোর্ট কতটুকু সক্ষম, কি ধরণের সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে—সেসব সরেজমিনে দেখে ব্যবস্থাগ্রহণই আমাদের এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় মোংলার ব্যবহার অনেক কম। অথচ এখানে ভালো সুযোগ রয়েছে। যদি মোংলায় গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের আমদানি বাড়ানো যায়, তাহলে চট্টগ্রামের চাপ কমবে। খরচ ও সময় উভয়ই বাঁচবে।’
চেয়ারম্যান জানান, গাড়ি ব্যবসায়ীদের সাথে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও আরও আলোচনা হবে যেন অধিকতর গাড়ি আমদানি মোংলা বন্দরের মাধ্যমে হয়। ব্যবসায়ীরা যেন সহজে সেবা পান, সেটাই সরকারের লক্ষ্য।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, এনবিআর চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আতাউল গনি ওসমানী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান জানান, কাস্টমস হাউসে পর্যাপ্ত অফিস ও আবাসিক সুবিধা না থাকায় তা এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ীদের জানাচ্ছি—মোংলায় চট্টগ্রামের তুলনায় দ্রুত মালামাল খালাস হয় এবং পোর্ট ডেমারেজ কম। এছাড়া সকল গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে মোংলা বন্দর ব্যবহার নিশ্চিত করতে এনবিআরের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এনবিআর চেয়ারম্যানের এই সফর মোংলা বন্দর ও কাস্টমস হাউসের সামগ্রিক উন্নয়ন ও ব্যবহার বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ