প্রবাসী ভোটার রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের আওতায় আরও পাঁচটি নতুন দেশে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জর্ডান ও মালদ্বীপে ভোটার কার্যক্রম শুরু হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর প্রাথমিক প্রস্তুতি যেমন ইকুইপমেন্ট এবং জনবল প্রস্তুতকরণ, প্রশিক্ষণ এবং যন্ত্রপাতির ইন্টিগ্রেশন প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বলে জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক(ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজি এসব কথা বলেন।
ডিজি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ডিসি এবং নিউইয়র্কে ভোটার রেজিস্ট্রেশন শুরু করার অনুমতি পাওয়া গেছে। বিশেষত, নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাঙালি জনগণের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
যুক্তরাজ্য-কানাডাসহ ৯ দেশে মোট ৪৮ হাজার ৮০ জন প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক ভোটের জন্য আবেদন করেছে। এই প্রক্রিয়ায় কী পরিমাণে ব্যয় হচ্ছে তা জানে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর।
প্রবাসী ভোটারদের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে ডিজি বলেন, সব থেকে বেশি আবেদন পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯ হাজার ৮৭৯ জন। এরপরেই সৌদি আরবে তিন হাজার ৮৫৩ জন।
এছাড়া যুক্তরাজ্যে ৯ হাজার ৩১৫, ইতালিতে ৬ হাজার ৬৮১, কুয়েতে ৪ হাজার ৭৬, মালয়েশিয়ায় ১ হাজার ২১, অস্ট্রেলিয়ায় ২০৬ ও কানাডায় ৪১৭ জন আবেদন করেছে নতুন ভোটার হতে। দ্রুত যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা মালদ্বীপে ভোটার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান ডিজি।
নতুন ভোটার প্রতি কত টাকা খরচ হচ্ছে এ প্রসঙ্গে ডিজি বলেন, এটা আমার জানা নেই। ইসি সচিবালয় এটা ভালো বলতে পারবে। কারণ সচিবালয় প্রকল্পের আওতায় এই ভোটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ডিজি বলেন, পাবলিক আইপি না পাওয়ায় জাপানে প্রবাসী ভোটার হালনাগাদ আটকে আছে। জাপানে প্রবাসী ভোটার হালনাগাদের জন্য আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। যারা যাবেন কারিগরি সহায়তা দিতে তাদের ভিসাও করা হয়েছে।
কিন্তু ওখানে পাবলিক আইপি পেতে একটু সময় লাগছে। ওখানে প্রাইভেট আইপি পাওয়া খুব সহজ। কিন্তু পাবলিক আইপিটা একটু সময় লাগে। আশা করি বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমরা পাবলিক আইপিটা পেয়ে যাবে। যদি আমরা পাবলিক আইপিটা পেয়ে যাই আমাদের জনবল যাওয়ার জন্য ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেসি