শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ময়মনসিংহে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষ, নিহত ৫ নির্ভুল মানচিত্রায়নের মাধ্যমে টেকসই সমুদ্রনীতি গড়ে তুলতে হবে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না: তারেক রহমান রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন‌্য হুম‌কির কারণ হ‌তে পা‌রে ইরানি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে: তারেক রহমান আড়িয়াল বিলের সব অপরিকল্পিত বাঁধ অপসারণের নির্দেশ পরিবেশ উপদেষ্টার প্রায় সকল দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনে আগ্রহী : আলী রীয়াজ ইরান ইস্যুতে পুতিন- শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কিছু এলাকায় উন্নয়ন হয়নি

গুমের শিকার ব্যক্তিদের জঙ্গি তকমা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হতো

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

বিগত সরকারের সময়ে গুমের শিকার অনেককেই জঙ্গি তকমা দিয়ে বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতো- এম তথ্য জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সভাপতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, গুমের শিকার ভুক্তভোগীদের সম্ভাব্য ৪ ধরনের পরিণতি হয়েছে। হয় তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথবা তাকে বিচারের আগেই মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করে সাধারণত জঙ্গি তকমা দিয়ে বাংলাদেশেই বিচারাধীন বা নতুন ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতো।

আবার কাউকে কাউকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দিয়ে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হতো। তবে কারও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে, অল্প সংখ্যক ক্ষেত্রে মামলা না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। কমিশনে দাখিল করা অভিযোগ বিশ্লেষণে এসব তথ্য দেওয়া হয়।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ৪ জুন প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে গুম কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরেছি, বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে বাংলাদেশে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত দমননীতির অংশ হিসেবে গুমকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন এই প্রতিবেদনে প্রায় ১৮৫০ অভিযোগ বিশ্লেষণের মধ্যে থেকে ২৫৩ জন গুমের শিকার ব্যক্তির তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যাদের ৩টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রথমত, নিখোঁজ হওয়ার সময়ে তাদের নিকটাত্মীয়ের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি, ফৌজদারি মামলা, গুম থাকাবস্থায় সংবাদ প্রতিবেদনের মতো সমসাময়িক প্রমাণ রয়েছে। শুধুমাত্র এই ২৫৩ জন সমসাময়িক প্রমাণ দাখিল করতে সক্ষম হয়েছেন, বাকিরা হননি কারণ তখন এসব ক্ষেত্রে জিডি করতে গেলে জিডি নেওয়া হতো না।

দ্বিতীয়ত, গুম অবস্থা থেকে ফেরতের সময় তাদের সন্ত্রাসবিরোধী মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় কোনো একটি সংস্থা স্বীকার করে নেয় যে ব্যক্তিটি তাদের হেফাজতে আছে। তৃতীয়ত, এই ভুক্তভোগীরা জীবিত আছেন তাই তারা কমিশনকে জানাতে পেরেছেন যে তারা রাষ্ট্রীয় হেফাজতে গোপন আটক কেন্দ্রে বন্দি ছিলেন, যেখানে তাদের অনেকের একে অপরের সঙ্গে দেখাও হয়েছে এবং একই ধরনের নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন, যোগ করেন তদন্ত কমিটির প্রধান।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com