অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া তিন উপদেষ্টার (এখন দুজন) বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বলতে কোনো দ্বিধা নেই, যখন আমরা ক্যাবিনেট মিটিংয়ে বসি, তখন তারা যে মতামত দেয়, ওদের মতামতটা খুব শার্প (তীক্ষ্ণ) হয়, খুব প্রিসাইজ (যথাযথ) হয় এবং টু দ্য পয়েন্ট হয়, কারণ ওরা আসলে জানে ওরা কী চাচ্ছে।’
গতকাল শনিবার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায়ন: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমি যেটা চাইব, সেটাই আমার শাসকেরা করবেন—এটাই আমি গভর্ন্যান্স (শাসনব্যবস্থা) মনে করি এবং আমি মনে করি, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের তরুণেরা সেই রকম একটা যাত্রায় আছে।’
বিগত শাসনব্যবস্থা কেবল ‘অ্যাডজাস্টমেন্ট’ (মানিয়ে নেওয়া) করতে বলেছে এবং ‘ইয়েস’ বলতে শিখিয়েছে—এমন মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান গভর্ন্যান্স সিস্টেম (শাসনব্যবস্থা) আমাদের অ্যাডজাস্টমেন্ট করতে বলে। বিপরীতে আমাদের এমন একটা গভর্ন্যান্স লাগবে যেখানে ‘ইয়েস’ও বলা যাবে, আবার ‘নো’ ও বলা যাবে। …বিগত ব্যবস্থা আমাদের কেবল অ্যাডজাস্টমেন্টই করতে বলেছে এবং ইয়েস বলতে শিখিয়েছে।’
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সহউপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন— জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক অনিন্দিতা ঘোষাল, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সালেহ শাহরিয়ার। সেমিনারে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির ‘নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড ফিজিসিস্ট’ হারুনুজ্জামান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ