বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম: দেশের বৃহত্তম কাপ্তাই লেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. সামশুল আরেফিন এক দাপ্তারিক আদেশে মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির স্বার্থে কাপ্তাই লেকে সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার দিবাগত) রাত ১২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই লেক থেকে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লেক থেকে কেউ মাছ ধরে পাচার করছে কিনা তা দেখভাল করার জন্য কাপ্তাই সড়কের ৩টি স্থানে চেক পোস্ট বসানো হবে।
আদেশে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলরাশি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিশাল কাপ্তাই হ্রদে চলতি মৌসুমে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি, মজুদ এবং ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের মৎস্য আহরণ, পরিবহন ও বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। আদেশটি কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মৎস্য কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) পাশাপাশি আইনশৃংখলা বাহিনীসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন জানান, দেশের সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলরাশি কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি নিশ্চিতসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশকে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হ্রদ হতে সব প্রকার মৎস্য আহরণ, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে হ্রদের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সহায়তা করবেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বন্ধ মৌসুমে হ্রদে কারেন্ট জাল, কাথা জাল, বেড়া জাল, মশারি জাল এবং ফাঁস জালসহ কোনো কিছু দিয়ে মাছ ধরা যাবে না। হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বাড়াতে রাঙ্গামাটি ফিশারিঘাট, জেলা পরিষদঘাট, লংগদু, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, ডিসি বাংলোঘাটসহ সুবিধাজনক জায়গায় মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে বলা হয়েছে, যেসব নিবন্ধিত জেলে কাপ্তাই লেকের মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করেন তাদের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে দুই দফায় মোট ৪০ কেজি চাল দেওয়া হবে।
হ্রদ এলাকার ছয়টি মৎস্য অভয়াশ্রমে সব মৌসুমে মাছ শিকার ও আহরণ বন্ধ থাকবে। হ্রদে মাছ শিকার বন্ধকালে জেলে পরিবারদের সহায়তায় ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে চাল বিতরণ করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/বিকে