মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয়

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

এখনো সাংবাদিকরা গালাগালির শিকার হচ্ছেন, অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে, এটা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রোববার (৪ মে) ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে ‘সাহসী নতুন বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোডম্যাপ সংস্কার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কামাল আহমেদ আরও বলেন, অনেকে বলছেন যে সংবাদমাধ্যমকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের যে প্রস্তাব কমিশন করেছে, তা অবাস্তব। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম লাভ করতে পারছে না বা রুগ্ন প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু এসব গণমাধ্যম কোম্পানির মধ্যে যাদের হিসাব রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির দপ্তর থেকে পাওয়া গেছে, তার আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রায় দেড় ডজনের বেশি সংবাদমাধ্যম লাভজনক, যা প্রমাণ করে, এ ধরনের রূপান্তর মোটেও অযৌক্তিক নয় এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা হলো বাজারে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান যেনতেনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বা বিভিন্ন স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। পাঠক বা শ্রোতার আকৃষ্ট করতে না পারলেও তারা টিকে থাকার চেষ্টায় বিজ্ঞাপনের দরে অস্বাভাবিক হারে ছাড় দিয়ে পুরো খাতের ক্ষতি করছে।

গণমাধ্যমের মালিকদের আরও সাহসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের সেলফ সেন্সরশিপ ও সাংবাদিকদের ওপর বেশিরভাগ হামলার পেছনে এখনে কাজ করছে সামাজিক মাধ্যমে হুমকি এবং কথিত মব ভায়োলেন্স। সরকারের এগুলো কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণের কথা থাকলেও তা দেখা যাচ্ছে না।

গণমাধ্যম সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারের অঙ্গীকার আছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কিছু সমালোচক ভারতের উদাহরণ টানলেও, মুক্ত গণমাধ্যমের বৈশ্বিক সূচকে ভারতের অবস্থান অত্যন্ত দুর্বল। চলতি বছরের সূচকেও ভারত বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের গদি মিডিয়া নামকরণ থেকেই বোঝা যায় গণমাধ্যমগুলোর অবস্থান। মূলধারার প্রায় সব গণমাধ্যমই হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপির নীতি-আদর্শের প্রসারে নিয়োজিত।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইউনেস্কো ঢাকা অফিস, টিআইবি ও সুইডেন দূতাবাস। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বাংলা৭১নিউজ/জেসি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com