মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এখনো কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি ভারত

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

ভারত শাসিত কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সাম্প্রতিক হামলা বিশ্বের অন্যতম সামরিকভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যর্থতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। এ হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। তবে প্রাণঘাতী এই হামলাকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ড্যান স্ট্রাম্প এবং সুধী রঞ্জন সেন লেখেন, ‘ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর গত সপ্তাহের প্রাণঘাতী হামলাটি বিরোধী রাজনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জাগিয়েছে—বিশ্বের অন্যতম সামরিকভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলে কীভাবে দিনের আলোয় এমন একটি নৃশংস হামলা সম্ভব হলো?’

একই সময়ে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে স্বীকার করেন, এই হামলার পেছনে একটি নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল। 

কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুযায়ী, বৈঠকে উপস্থিত এক বিরোধী দলের সদস্যের মতে, হামলার স্থানের আশপাশে সন্ত্রাসীদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল, কিন্তু সেনা বা অন্য কোনো বাহিনী তা আটকাতে পারেনি।

অমিত শাহ কংগ্রেসের সেই পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাননি বা গোয়েন্দা ব্যর্থতার সমালোচনার বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সুশান্ত সিং বলেন, এজেন্সিগুলোর উচিত ছিল অন্তত কিছু তথ্য থাকা যে কোনো গোষ্ঠী এমন হামলার পরিকল্পনা করছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা হয় সেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি, অথবা সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে—দুই ক্ষেত্রেই এটি একটি গুরুতর বিষয় যা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।’

তবে এখনও অনেক কিছু অজানা রয়ে গেছে পহেলগাঁওয়ের  মনোরম প্রান্তরে ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের মতে, হামলার স্থানে নিরাপত্তা প্রায় অনুপস্থিত ছিল এবং নিকটতম সেনা ইউনিট ছিল প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।

কর্নাটকের কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই বলেছে, ‘সেখানে একজন ভারতীয় সেনাও উপস্থিত ছিলেন না। এটা কি নিরাপত্তা ব্যর্থতা নয়?’

কর্ণেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস-এর সিনিয়র ফেলো এবং নয়াদিল্লিতে অবস্থানরত সাবেক মার্কিন কূটনীতিক অ্যাশলি টেলিস বলেন, এই হামলাটি দেখায় যে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলার জন্য সন্ত্রাসীদের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগে সরকার এই গোষ্ঠীগুলোর গতিবিধি মনিটর করত মানব ও প্রযুক্তিগত গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ে। যদি এই গোষ্ঠীগুলো এখন আরও দক্ষভাবে নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবহার করে থাকে, যা সরকার শনাক্ত বা ভেঙে ফেলতে পারছে না, তাহলে তা নিঃসন্দেহে তাদের একটি সুবিধা দিচ্ছে।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com