ইরানের বাইরে একাধিক দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। শুক্রবার রাতে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ইরান বেশ কয়েকটি দেশে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে, তবে আপাতত দেশগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান গত বছর নতুন ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে, যা অনেক উন্নত এবং কৌশলগত।’ এদিকে গত বৃহস্পতিবার বৃহৎ পরিসরে মহড়া চালিয়েছে ইরানের নৌবাহিনী। ওমান উপসাগর এবং উত্তর ভারত মহাসাগরে ভূপৃষ্ঠের লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাও চালিয়েছে তেহরান।
এক মাস আগে ক্যাস্পিয়ান সাগরে ক্যাসারেক্স ২০২৫ নামে পরিচিত ইরান-রাশিয়ার যৌথ মহড়ার পর এই মহড়া চালানো হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ইরানের আধুনিক অস্ত্রের অ্যাক্সেস সীমিত করেছে, যা দেশীয় নকশা এবং পুরানো সিস্টেমের অভিযোজনের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যদি জুন মাসের সংঘাত ১৫ দিন পর্যন্ত বিস্তৃত হতো, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী ইরানের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে পারত না। আর এ জন্যই ইসরায়েল মার্কিন মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছিল।
ইরান তার সবচেয়ে নির্ভুল অস্ত্র কাসেম বাসির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি বলেও জানান তিনি। কাসেম বাসির ক্ষেপণাস্ত্রটি গত মে মাসে উন্মোচিত হয়, যা একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ইরান বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এতে রয়েছে উন্নত নির্দেশিকা এবং প্রতি-প্রতিরোধ ক্ষমতা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ