সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাক্ষীর জবানবন্দি : হাসপাতালে শেখ হাসিনা ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ নির্দেশ দেন ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের পর্যটন খাত এখনো অনেক পিছিয়ে : শিল্প উপদেষ্টা চাকরি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তথ্য যাচাই করছে সরকার: উপদেষ্টা সেপ্টেম্বরে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম শুরু: গণশিক্ষা উপদেষ্টা বাংলাকে ‘বাংলাদেশের ভাষা’ বলায় চটলেন মমতা রাশিয়াকে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে ভারত, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগ পর্যন্ত অভিযান চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সমালোচনার পাশাপাশি ভালো দিকগুলোও দেখতে হবে : অর্থ উপদেষ্টা ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবি, ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু

ডানা না ঝাপটিয়ে হাজার কিমি উড়তে পারে যে পাখি

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

হোয়াইট-উইংড অ্যালবাট্রস বা গুনি নামেও পরিচিত, ডায়োমেডেইডি পরিবারের একটি বড় সামুদ্রিক পাখি। ডায়োমেডিয়া এক্সুল্যান্স বা ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস। যার বৈজ্ঞানিক নাম (Diomedea exulans)। 

দক্ষিণ মহাসাগরে একটি বৃহৎ পরিসরে তাদের বসতি রয়েছে। এটি অ্যালবাট্রসের সাম্প্রতিকতম বর্ণিত প্রজাতি এবং দীর্ঘকাল ধরে ত্রিস্তান অ্যালবাট্রস এবং অ্যান্টিপোডিয়ান অ্যালবাট্রসের মতো একই প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত।

পৃথিবীতে যত জীবিত পাখির ডানার বিস্তার রয়েছে এবং এটি সবচেয়ে দূরবর্তী পাখিগুলোর মধ্যে একটি। কিছু স্বতন্ত্র স্নোয়ি অ্যালবাট্রস এক বছরে তিনবার দক্ষিণ মহাসাগর প্রদক্ষিণ করতে পারে। এই পাখিটিকে প্রকৃতির বিস্ময় বলা যায়। 

এটি এমন এক সামুদ্রিক পাখি, যার ডানা বিশ্বে সবচেয়ে বড়। ডানার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩.৫ মিটার বা ১১.৫ ফুট! এই বিরাট ডানা পাখিটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডানা না ঝাপটিয়ে উড়তে সাহায্য করে। এমনকি দিনের পর দিন পাখিটি ডানা না ঝাপটিয়েই উড়ে যেতে পারে।

কীভাবে পাখিটি এতক্ষণ ধরে উড়তে পারে?

এ পাখিটিকে বলা হয়, ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস। তারা ‘ডায়নামিক সোয়ারিং’ নামে এক ধরনের উড়ে যাওয়ার কৌশলকে কাজে লাগায়। এতে বাতাসের ওপর ভর করে অনায়াসে মাইলের পর মাইল উড়ে যেতে পারে পাখিগুলো। দক্ষিণ মহাসাগরের ঢেউয়ের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এই পাখি বাতাসের চাপের পার্থক্যকে কাজে লাগিয়ে ভেসে থাকতে পারে।

কোথায় বাস করে এই পাখি?

ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস সাধারণত দক্ষিণ মহাসাগর অঞ্চলে থাকে এবং শুধু বংশবৃদ্ধির জন্য ফিরে আসে উপ-অ্যান্টার্কটিক দ্বীপপুঞ্জে। সারা জীবন সমুদ্রে কাটিয়ে দেয়। এমনকি জলে ভাসতে ভাসতে ঘুমিয়েও নেয় বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের। 

আজীবনের সঙ্গী

এই পাখিগুলো আজীবনের জন্য জুটি বাঁধে। সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময় এরা একধরনের নাচ, শব্দ এবং ভঙ্গিমা ব্যবহার করে। এ কারণে অনেকেই এদের প্রেমের প্রতীক বলেও মনে করেন।

হুমকির মুখে এসব পাখিগুলো

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস আজ প্রকৃত হুমকির মুখে। লংলাইন ফিশিং, যেখানে পাখি জালে জড়িয়ে ডুবে যায়, সেটা এই পাখিদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। জলবায়ু পরিবর্তন, খাদ্য সংকট এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তনও তাদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে।

সংরক্ষণের প্রচেষ্টা

এই পাখিটি ‘আইইউসিএন রেড লিস্টে’ বিপন্ন প্রাণীর তালিকাভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও পরিবেশবাদী সংগঠন এই পাখিদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে।

আমাদের কী করণীয়?

ওয়ান্ডারিং অ্যালবাট্রস পাখি কেবল একটি প্রজাতি নয়। এরা প্রাকৃতিক ভারসাম্য, স্বাধীনতা এবং পরিবর্তনশীল জীবজগতের প্রতীক। এদের রক্ষা করা মানে আমাদের মহাসাগর, জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com