চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের পদ্মা নদী থেকে অ্যাসিডে পোড়ানো সফিকুল ইসলাম সফিক নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে পাঁকা ইউনিয়নের বাতাসি মোড় এলাকার পদ্মা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেরাজুল ইসলামের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহতের ভগ্নিপতি মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমির উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে গরু আনার জন্য ভারতে যান সফিকুল ইসলাম। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শনিবার পদ্মা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে মরদেহ শনাক্ত করা হয়। তবে পুরো শরীর ছিল অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানো।
তবে স্থানীয়দের দাবি, ভারতের বিএসএফ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে কৌশল পরিবর্তন করে অপরাধ ঢাকতে নির্যাতন করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
এর আগে, গত সোমবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনোহরপুর সীমান্ত দিয়ে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সৈয়বুর আলী। তিনি পাঁকা ইউনিয়নের দশরশিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছে সঙ্গী রুহুল আলী।