চট্টগ্রাম শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। ইতোমধ্যে নগরের ২৪ ওয়ার্ডে ২৪টি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের মালিক বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
এর মাধ্যমে অন্তত ৪০০ কোটি টাকার ব্যবসা করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে আবার নেই প্রতিষ্ঠানগুলোর তেমন অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি ময়লা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের।
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বেলা সাড়ে ১২টায় চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
চসিকের প্রধান কাজ ময়লা ব্যবস্থাপনা, সড়ক বাতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এজন্য নগরবাসীর কাছ থেকে টাকা আদায় করে চসিক। তারপরও ময়লা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। যারা নগরবাসীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে ময়লা সংগ্রহ করবে। এক্ষেত্রে চসিকের যুক্তি ঘর থেকে ময়লা সংগ্রহ তাদের দায়িত্ব না।
তারা নির্দিষ্ট স্থান থেকে ময়লা সংগ্রহ করবে। যদিও ঘর থেকে ময়লা সংগ্রহের জন্য প্রায় ২ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন। এখন আবার নতুন করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া মানে নগরবাসীকে ময়লার জন্য করের টাকার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা দিতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ