বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : শহরের বাড়িগুলোতে খোলা জায়গা বলতে বোঝায় বারান্দা আর ছাদ। যদিও অধিকাংশক্ষেত্রে ছাদ ব্যবহারে বাড়িওয়ালাদের নিষেধাজ্ঞা থাকে। তাই নিজের প্রয়োজন ও সখ মেটানোর একমাত্র উপায় হল বারান্দার সঠিক ব্যবহার করা।
প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী বারান্দা সাজানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনরশিপ’ বিভাগের প্রধান নাসিমা নাসরিন বলেন, “প্রয়োজন এবং সখ গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের সামর্থ্যকে মাথায় রাখা উচিত। শহরে বাগান করা বা বই পড়ার জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা খুব কঠিন। তাই বারান্দা নিজের পছন্দ মতো ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ”।
নাসিমা নাসরিনের মতে, পরিকল্পনা করে সাজানো হলে অল্প জায়গাকেও নিজের মনের মতো করে গুছিয়ে নেওয়া যায়। বারান্দার ব্যবহার ও সাজানো সম্পর্কে তিনি কিছু পন্থা উল্লেখ করেন।
– পড়ার জন্য যদি আলাদা ঘর না থাকে তাহলে বারান্দাই সাজিয়ে তুলুন পড়ার ঘরের মতো করে। বারান্দার গ্রিলে স্লাইডারের ব্যবস্থা করে তার একপাশকে বই রাখা সেলফ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বই পড়ায় সৌখিনতা থাকলে বারান্দায় ছোট একটা ডিভানের ব্যবস্থা করুন এতে পড়ার আমেজটা বেশ ভালোভাবেই অনুভব করতে পারবেন।
– সারাদিনের কাজ শেষে স্বামী-স্ত্রী অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যেরা যদি একান্ত কিছু সময় কাটাতে চান তাহলে বারান্দায় তৈরি পড়তে পারেন ‘গসিপ জোন’। চাইলে দুই একটা পাতাবাহারের গাছ গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষণ থাকলে ‘গসিপ জোনে’ রাখতে পারেন ছোট আকারের সাউন্ড বক্স। ঘরে গান চালিয়েও বারান্দায় বসে তা উপভোগ করা যায়।
– অনেকেরই বাগান করার সখ থাকে। তবে শহরে জায়গার অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে বারান্দায় যদি রোদ পাওয়া যায় তাহলে সেখাই মেটানো যেতে পারে শখ। পছন্দসই ফুল গাছ, কলমের ফল গাছ অথবা ঔষধি গাছ লাগাতে পারেন। এতে করে মনের আশ মেটানোর পাশাপাশি পাওয়া যাবে তাজা ফুল ও ফলের মজা।
– শরীরচর্চার বিষয়ে যারা একটু সচেতন কিন্তু নানা কারণে ব্যায়াম করতে বা হাঁটতে যাওয়া হয় না। তারা বারান্দাকে শরীরচর্চার জায়গা হিসেবে বেছে নিতে পারেন, প্রয়োজন হলে বারান্দায় পর্দা লাগিয়ে নিন এতে ‘বাইরের লোক দেখছে’- এটা ভেবে সংকোচ হবে না।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস