সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন

ট্রাম্পের উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় নিয়মিত মাদক নিয়েছেন ইলন মাস্ক

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে গত ২৯ মে হঠাৎ করেই ট্রাম্প প্রশাসনে দায়িত্ব পালনের ইতি টানেন মাস্ক।

তবে বিদায় বেলায় তাকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইলন মাস্ক ট্রাম্প প্রশাসনে থাকা অবস্থায় নিয়মিতভাবে কেটামিন, এক্সট্যাসি এবং সাইকেডেলিক মাশরুম সেবন করতেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের মাদক গ্রহণের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, সেটি তার মূত্রথলির সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

জানা গেছে, তিনি প্রায় প্রতিদিনই কেটামিন সেবন করতেন এবং প্রায় ২০টি ওষুধের একটি বাক্স সব সময় সঙ্গে রাখতেন। ওই বাক্সে অ্যাডেরলের মতো উত্তেজক ওষুধের অস্তিত্বও ছিল।

একটি ছবিতে দেখা গেছে, ওষুধের বাক্সটিতে অ্যাডেরল চিহ্নিত বড়ি ছিল। মাস্ক অবশ্য দাবি করেন, তার কেটামিন সেবন চিকিৎসকের পরামর্শে হতাশা দূর করার জন্য, এবং সেটি তিনি প্রতি দুই সপ্তাহে একবার গ্রহণ করতেন।

২০২৩ সালের বসন্ত নাগাদ তার কেটামিন সেবনের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। মাস্ক তখন ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেন এবং প্রচারণায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার দান করেন। একই সময় তিনি ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডজ)’ নামে একটি বিশেষ প্রশাসনিক ইউনিট পরিচালনার দায়িত্ব পান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মাস্ক হোয়াইট হাউসে নিয়মিত যাতায়াত করতেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। বাজেট ও আমলাতান্ত্রিক কাঠামো পুনর্বিন্যাসে তার ভূমিকা ছিল। তবে হোয়াইট হাউস তার মাদক সেবনের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি কিংবা তাকে ড্রাগ টেস্টে অংশ নিতে বলেছে কি না, তাও জানা যায়নি।

মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সরকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সেখানে কর্মীদের জন্য মাদকমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। কর্মীদের ওপর ড্রাগ টেস্ট চালালেও মাস্ক আগেভাগেই সে বিষয়ে সতর্কবার্তা পেয়ে যেতেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে মাস্কের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনও উঠে এসেছে। বলা হয়, তিনি একাধিক নারী সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং সন্তানদের নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জড়িয়েছেন। তার প্রাক্তন সঙ্গিনী গায়িকা গ্রাইমস তাদের সন্তানকে নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, শিশুটিকে জনসমক্ষে নিয়ে যাওয়া তাদের চুক্তিভিত্তিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করেছে এবং শিশুটির স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এতে ঝুঁকির মুখে পড়ছে।

এক নারী লেখক অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ারও দাবি করেছেন, মাস্কের সঙ্গে গোপন সম্পর্কে তার একটি সন্তান হয়েছে এবং মাস্ক চাইছিলেন বিষয়টি গোপন রাখতে। পরে মাস্ক তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলা বন্ধ করতে আদালতে গ্যাগ অর্ডার চেয়ে আবেদন করেন।

মাস্কের আচরণ নিয়ে দীর্ঘদিনের কিছু বন্ধু উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিউরোসায়েন্টিস্ট এবং এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফিলিপ লো বলেন, “ইলন তার খারাপ আচরণের সীমা ক্রমাগত অতিক্রম করে চলেছে।”

 সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com