রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রমোটে আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে হবে : সারজিস সাম্য হত্যার তদন্ত ডিবির কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এবারের বাজেট দায়িত্বজ্ঞানহীন নয়: পরিকল্পনা উপদেষ্টা দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ২১ শুধু কমিশন নয়, ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সব রাজনৈতিক-সামাজিক শক্তির দায়িত্ব গাজায় শেষরাতে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৫৯ চট্টগ্রামের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল নিয়ে বিতর্ক: বিবিসি বাংলা ঢাকা সেনানিবাসের আশপাশের কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

জামায়াত-বিএনপির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত পাবনার রাজনীতি

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষ, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর পাল্টাপাল্টি কড়া বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ।

সংঘর্ষে জামায়াত কার্যালয়ে আগুন দিয়ে কোরআন পোড়ানো ও হামলার অভিযোগ তোলা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা ইহুদীদের মত কাজ করছেন বলে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মণ্ডল।

অপরদিকে জামায়াতকর্মীরা নিজেরাই কোরআন পুড়িয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন বলে দাবি করেছেন পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। এ ঘটনায় জামায়াতকর্মীদের মোনাফেক আখ্যা দিয়ে আটঘরিয়ার মসজিদে জামায়াতের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আজান বা ইমামতি করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। শনিবার (১৭ মে) পাবনা জেনারেল হাসপাতালে সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন এ বিএনপি নেতা।

অন্যদিকে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের পর বিক্ষুব্ধ বিএনপি কর্মীরা জামায়াতের কার্যালয়ে আগুন দিলে অগ্নিদগ্ধ অফিস পরিদর্শন শেষে গত শুক্রবার (১৬ মে) সকালে সাংবাদিকদের দেওয়া বক্তব্যে বিএনপিকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন জেলা জামায়াত আমির।

 

বক্তব্যে জামায়াত আমির আবু তালেব মণ্ডল বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যা করে নাই, আমার মনে হয় তার চেয়েও বেশি বর্বরতার সঙ্গে এই বিএনপির সন্ত্রাসীরা আলম-আছিউরের নেতৃত্বে আমাদের কার্যালয় তছনছ করেছে, আপনারা দেখছেন। বিশেষ করে এখানে আমাদের লাইব্রেরি ছিল, এখানে কোরআন-হাদিস, ইসলামি সাহিত্য আমাদের সব অফিসেই থাকে। সেখানে তারা (বিএনপি নেতাকর্মী) আলমারি খুলে কোরআন শরীফও অগ্নিদগ্ধ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চেয়ার-টেবিল আসবাবপত্র যা আছে সব তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙচুর করেছে, তছনছ করেছে। মনে হচ্ছে একেবারে ইসরায়েলি বর্বরতা। যেভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপরে আক্রমণ চালাচ্ছে, গাজার ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।

সেইভাবে তারা এই ইহুদীদের মত কাজ করছে। তারা মসজিদে হামলা করছে, কোরআন পুড়াচ্ছে। এরা ইসলামের দুশমন। এরা দেশবাসীর দুশমন। এরা জাতির দুশমন। আটঘরিয়াবাসী এটা কোনোক্রমেই মেনে নেবে না।’

জামায়াত আমিরের এ মন্তব্য ও বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-ভাঙচুরের প্রতিক্রিয়ায় আহত কর্মীদের দেখতে গিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়াতে পারে না।

কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দেশের সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই দলে কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়াবে, এই মিথ্যাচার যারা করছেন তাদের বিচার হতে হবে। এই কোরআন যারা পুড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত বলছে, আমাদের লোকেরা পুড়িয়েছে। যদি কোনো ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারে বিএনপির লোকেরা ওখানে আগুন দিয়েছে, বিএনপির লোকেরা কোরআন পুড়িয়েছে তার সমস্ত দায় আমি নেবো।’

জামায়াতকর্মীরা মোনাফেক দাবি করে তিনি বলেন, ‘আটঘরিয়ার কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো ইমাম কোনো মুয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না। জামায়াতের কোনো ইমাম ইমামতি করতে পারবে না। যেখানেই যাবেন আগামী জুমায় প্রতিবাদ করবেন। জামায়াতে ইসলামীর লোক, তারা মিথ্যা কথা বলে। তাদের সঙ্গে নামাজ হয় না।’

এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘এসব করে আবার তারা প্রতিবাদ মিছিল করেছে। যে সমস্ত জঘন্য ভাষায় তারা বক্তব্য দিয়েছে। এর প্রতিবাদে আটঘরিয়ার মানুষদের আমি বলব, এই জামায়াত-শিবিরদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। এরা স্বাধীনতা বিরোধী। এরা রগকাটা গ্রুপ। এরা স্বাধীনতা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনকে বিশ্বাস করে না। ওরা শহিদ মিনারে যায় না। ওরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যায় না এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বীকার করে না।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। এরপর এদিন বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে দেবোত্তর বাজার ঘুরে উপজেলা বিএনপি নেতা আলমের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে জামায়াত কর্মীরা।

পরে সন্ধ্যার আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এরপর সন্ধ্যার দিকে লাঠিসোঁটা ও লোহার পাইপসহ সশস্ত্র অবস্থায় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com