মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
চীনা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে কোনো পানি প্রত্যাহার হবে না : চীনা রাষ্ট্রদূত বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে: আইন উপদেষ্টা প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯, আহত অন্তত ৫০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক ইশরাকের বক্তব্য নাসীরুদ্দীনের চেয়ে কয়েকগুণ নিচু লেভেলের: সারজিস প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১, হেলিকপ্টারে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে ৪ জনকে ইলিশের দাম বেশি হওয়ার কারণ সরবরাহ কম ও চাঁদাবাজি : উপদেষ্টা জুলাই যোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা থাকছে না: মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা সারের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যদের বিবেচনায় নেয়া হবে : কৃষি উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে স্বাধীনতা সংকটে পড়বে : নুর

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে এ দেশে আবার স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সংকট তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। 

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আমরা যারা নেতৃত্ব দিয়েছি— বড় বড় রাজনৈতিক দল অতীতে যেভাবে সমঝোতা করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়েছে, রাজনীতি করেছে তাদের আগে আঘাত পড়বে আমাদের বুকে। কাজেই এটা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আর কোনো আপস করা হবে না এবং সরকারকে আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।

শনিবার (১০ মে) রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলের আগে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, এ আন্দোলনে আমাদের কিছু ছাত্রনেতা সামনে ছিল। আমরা নাহিদকে জিজ্ঞেস করতে চাই, সাত মাস সরকারে থেকে কেন এই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিল না। নাহিদ, আসিফ, মাহফুজ সরকারের বিশেষ সহকারী ছিল। সেখান থেকে প্রমোশন পেয়ে তারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তারা যদি উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে বলতেন যে, মাননীয় উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা আমাদের ভাইয়েরা রক্ত দিয়ে আন্দোলন সফল করেছে। তাদের ত্যাগ ছাড়া আমাদের এখানে আসার কোরো সুযোগ ছিল না। তাদের কৃপায় আমরা এখানে এসেছি। 

তাদের দাবি হচ্ছে ফ্যাসিবাদকে চিরতরে নির্মূল করে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করা। আপনি প্রধান উপদেষ্টা, আপনার প্রথম সিদ্ধান্ত ফ্যাসিবাদকে এ দেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা। তারা কি বলেছেন, বলেন নাই। তারা আন্দোলনের মাধ্যমে নেতা হয়ে পুরানো বন্দোবস্তের মাধ্যমেই ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য এবং নিজেরা দল গঠনের মধ্যে ব্যস্ত থেকেছে।

তিনি আরও বলেন, যমুনা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন। এটি একটি স্পর্শকাতর জায়গা। একটা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল যাদের সমর্থনে এই সরকার আছে, সেই জায়গা থেকে কী আমরা যমুনার সামনে ঘেরাও করতে পারি? আমরা তো যমুনার সামনে যেতে পারি না। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপ আলোচনার অনেক রাস্তা আছে।

এতদিন খবর নেই, হঠাৎ করে তারা রাতের মধ্যে বিভিন্ন জনকে ডেকে লোকজনকে জড়ো করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আজকে অনুরোধ করা হয়েছে আমরা যেন নিরাপত্তার কারণে ওই এলাকাটি এড়িয়ে চলে। আমরা সরকারের প্রতি সহনশীল, আমরা যমুনার দিকে যাব না। আমরা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে এসেছি।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, জাতীয় সংলাপ করেন আর নাই করেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সিদ্ধান্তে আসতে হবে। অন্যথায় আজকে আমরা যমুনা ঘেরাও না করে আপনাদের ছাড় দিচ্ছি। পরবর্তীতে কোনো রাজপথের কর্মসূচিতে ছাড় দেওয়া হবে না।

উপদেষ্টা পরিষদকে দুর্বল ও ভঙ্গুর মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে বিপ্লব পরবর্তী সরকার চলছে না। তথাকথিত সুশীল কিংবা এনজিও ব্যক্তিত্ব দিয়ে এই সরকার চলবে না। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হবে না। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের অনুভূতি ও ন্যূনতম সেন্টিমেন্ট বোঝার চেষ্টা করছে না। সরকার যদি বুঝতে পারত তাহলে চেয়ারে বসার পরপরই তারা আওয়ামী লীগকে গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ করত। এখন পর্যন্ত সরকারের নয় মাস অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু তারা টেস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

মিছিলের আগে বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তব্য শেষে তারা পল্টন এলাকায় মিছিল করেন। এরপর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় স্মারকলিপি দিতে যান তারা। 

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com