ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। এক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) পহেলগাম হামলার জন্য নয়াদিল্লি ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করার কয়েকদিন পর তিনি এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন।
শুরুতেই আইএসপিআর ডিজি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি মিডিয়াকে একটি বিশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে ভারত জড়িত।
তিনি বলেন, পহেলগাম হামলার পর সাত দিন হয়ে গেছে, তবুও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত ভিত্তিহীন অভিযোগের ব্যাপারে একটিও প্রমাণ সরবরাহ করা হয়নি।
ডিজি আইএসপিআর বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে, যেখানে কেবল নিরাপত্তা বাহিনী নয়, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদেরও টার্গেট করতে সন্ত্রাসীদের কাছে বিস্ফোরক, আইইডি এবং অন্যান্য প্রাণঘাতী উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি পহেলগাম হামলার জবাবের ধরন, লক্ষ্যবস্তু ও সময় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
মোদী জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা করা আমাদের জাতীয় সংকল্প এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর তার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। অপরদিকে ভারতের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ওই হামলার পর সীমান্ত বন্ধ করা, কূটনৈতিক কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনা, ভিসা নিষেধাজ্ঞা, পাশাপাশি ছয় দশকের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করাসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটি তাদের আকাশসীমা এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে, যা ভারতের সঙ্গে এ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করার ইঙ্গিত দেয়।
সূত্র: জিও নিউজ
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ