রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেফতার সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক তৌফিক হাসান আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামি আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে মর্মে জানা যায়। মামলাটি তদন্তাধীন। এ অবস্থায় মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেলে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। মামলার তদন্তের স্বার্থে পরে ব্যাপক ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রাজধানী থেকে শহীদ খানকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী দেখতে পান, বেশ কিছু লোকজন রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটোরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে স্লোগান দিচ্ছেন এবং সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য ছিল জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে তারা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ গোলটেবিল বৈঠকে গ্রেফতার আসামিরাসহ আরও ৭০-৮০ জন অংশ নেন। পরে পুলিশ আসামিদের হেফাজতে নেন। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম ২৯ আগস্ট বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ