বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

আরও ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ষষ্ঠ দফায় আরও চার কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দফায় আট বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৭০ টাকা থেকে ১২১.৭৫ টাকা দরে ডলার কেনা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা।

বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই ডলার কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি বলেন, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে বরং বাজার থেকে ডলার কেনা হচ্ছে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কিনেছিল। গত ১৩ জুলাই ১৮টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৫০ টাকা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার, ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১.৯৫ টাকা দরে ১ কোটি ডলার, ৭ আগস্ট ১২১.৩৫ থেকে ১২১.৫০ টাকা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১টি ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১.৪৭ থেকে ১২১.৫০ টাকা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

ডলারের দাম হঠাৎ করে এবং অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া বা দরপতন হওয়া দুটিই ক্ষতিকর, যা সরাসরি আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে প্রভাব ফেলে। সর্বোপরি অর্থনীতিতে এর প্রভাব রয়েছে। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও তাদের চাহিদার অতিরিক্ত ডলার বিক্রি করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকগুলোর কাছে থেকে ডলার কিনে নেওয়া হয়, যাতে বাজারে ডলারের দামে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। এতে একদিকে যেমন ডলারের দাম পতন ঠেকানো সম্ভব হয়, অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বৃদ্ধি হয়। বর্তমান দেশের মোট রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। নতুন চার কোটি ৭৫ লাখ ডলার রিজার্ভকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

তারা বলছেন, বর্তমানে দেশে বিনিয়োগ কিছুটা ভাটায় রয়েছে। এর ফলে বাড়তি মূলধনী যন্ত্র আমদানি করতে হচ্ছে না। আমদানি করতে হচ্ছে না বাড়তি কাঁচামালও। তবে আগামী বছর নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে এলে নতুন বিনিয়োগ শুরু হবে। তখন মূলধনী যন্ত্র আমদানিতে বাড়তি ডলারের প্রয়োজন হবে। এই বাড়তি রিজার্ভ নতুন বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে।

বাংলা৭১নিউজ/একেএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com