বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
নির্বাচিত হলে পাঁচ বছরে ২৫ কোটি গাছ লাগাবে বিএনপি: তারেক রহমান মাইলস্টোনের তিন শিক্ষক সাহসিকতার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে যা হলো জাতীয় নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই : আইন উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ইসরায়েলি হামলা ও ক্ষুধা-অনাহারে গাজায় নিহত ছাড়াল ৬২ হাজার ঢাকার বাইরে এখনো মব জাস্টিস চলছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মৎস্য খাতের অবদানে প্রকৃতি ও পানির প্রতি সদয় হতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি অংশে জরিপে নামছে নরওয়ের গবেষণা জাহাজ

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর সহযোগিতায় নরওয়ের অত্যাধুনিক সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ ‘আর ভি ড. ফ্রিডজোফ নানসেন’ আগামী ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক মাসব্যাপী বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্যসম্পদ ও ইকোসিস্টেম জরিপ পরিচালনা করবে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য জানান।

উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ জরিপের মাধ্যমে মৎস্যসম্পদের মজুত নিরূপণ, ইকোসিস্টেম পর্যবেক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্লেষণ করা হবে। যা ভবিষ্যতে টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, এবারের জরিপে বাংলাদেশের ১৩ জন জাতীয় গবেষকসহ বিশ্বের মোট ২৬ জন গবেষক অংশ নিচ্ছেন। গবেষকরা উপকূলীয় এবং গভীর সমুদ্রে বিদ্যমান ছোট আকারের পেলাজিক ও মেসোপেলাজিক মাছের আপেক্ষিক প্রাচুর্যতা ও মজুত নির্ধারণসহ ইকোসিস্টেমের সার্বিক অবস্থা নিরুপণ করা হবে, যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে টেকসই আহরণের সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি গভীর ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র অঞ্চলে বাণিজ্যিক মৎস্যসম্পদের অনুসন্ধান ও আহরণে বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

জরিপের সময় সমুদ্রের পানি স্তর ও কলামের তাপমাত্রা, লবণাক্ততা, পুষ্টি উপাদান, ঘোলাভাব, উৎপাদনশীলতা, স্রোতের দিক ও গতি ইত্যাদি পরিমাপ করা হবে।

উপদেষ্টা জানান, মেসোপেলাজিক মাছ এবং প্ল্যাঙ্কটন সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলের মূল ভিত্তি। গভীর সমুদ্র অঞ্চলে এদের জৈবভর, প্রজাতিগত বৈচিত্র্য ও বিতরণ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এটি সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের সুস্থতা এবং বাণিজ্যিক মাছের উৎপাদনশীলতা বোঝার জন্য জরুরি।

তিনি বলেন, গবেষণা জাহাজ আর ভি ড. ফ্রিডজোফ নানসেন সর্বপ্রথম ১৯৭৯ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮০ সালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় জরিপ পরিচালনা করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এফএও ও নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন রিসার্চ (আইএমআর)-এর সহযোগিতায় জাহাজটি বঙ্গোপসাগরে মাছের মজুত ও ইকোসিস্টেম গবেষণা চালায়।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, এবারের জরিপ বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। জরিপ থেকে পাওয়া বৈজ্ঞানিক তথ্য বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ, টেকসই আহরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় জাতীয় নীতি প্রণয়নে সরাসরি সহায়তা করবে।

এছাড়া এটি বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে। সমুদ্রের বিভিন্ন গভীরতা ও পরিবেশ অনুযায়ী আবাসস্থলের মানচিত্র তৈরি করা হবে, যা প্রজাতি সংরক্ষণ ও মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে গভীর সমুদ্রের সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে, টেকসই মৎস্য আহরণের পথ সুগম হবে এবং সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সমৃদ্ধ হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com