গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, অভ্যুথানের যে আকাঙ্খা সেটা হচ্ছে জনগণের স্বার্থ সমাধান। কতিপয় বড়লোক লুটেরা যারা জমিদারী বানাতে চেয়েছিল সেটার বিরুদ্ধে আমাদের সন্তানেরা শত শত ভাই জীবন দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে চাইছে। সরকারের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, যেখানে ভর্তুকি দিলে জনবান্ধব শিল্প কলকারখানা বেঁচে থাকবে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে মানুষ। অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিষ্ট সরকারের কাজই ছিল লুটেপুটে খাওয়া। এস আলম গ্রুপকে সাথে নিয়ে যারা সেতাবগঞ্জ সুগার মিল ও এর বিশাল সম্পদ গ্রাস করার ষড়যন্ত্র করেছিল তারাই এই মিলটিকে বন্ধ করেছিল। অন্তর্বতীকালীন সরকার বন্ধ মিলগুলোকে চালুর যে সিদ্ধান্ত নিলেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ ছাড় না পাওয়ায় বন্ধ মিলগুলো চালু হচ্ছে না।
রবিবার সকাল ১১টায় সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনরায় চালনা আন্দোলন কমিটির আহ্বানে শ্রমিক ইউনিয়ন হলরুমে মিল পুন. চালনা আন্দোলন কমিটির আহবায়ক বদরুদোজা বাপনের সভাপতিত্বে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সেতাবগঞ্জ চিনিকল পুনরায় চালুর বিষয়ে তার পক্ষ থেকে সরকারের সাথে আলোচনা করা হবে। এখানে কোনো বৈষম্য নয় শ্রমজীবি ও কৃষকের কথা চিন্তা করেই ঐতিহ্যবাহী মিলটিকে অবিলম্বে চালুর জন্য জোর দাবি জানানো হবে। যে এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে ফোকলা করেছে সেই এস আলম গ্রুপের হাতেই দেশের চিনিকলগুলো তুলে দিতেই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি রংপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামালউদ্দীন, ছাত্র প্রতিনিধি রাজিউর রহমান, আখচাষী উজ্জ্বল প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এবি