জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের করা আবেদনের শুনানি পেছানো হয়েছে। হাইকোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শেষে আগামী ২৬ অক্টোবর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির কথা ছিল। তবে আসামিপক্ষের সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দিন নির্ধারণ করা হয়।
গত ১১ আগস্ট এ বি এম খায়রুল হকের পক্ষে করা আবেদনের শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালতকক্ষে দুই পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছিল। ওইদিন আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করে।
এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও জামিন চেয়ে সাবেক বিচারপতি খায়রুল হক ৭ আগস্ট আবেদনটি করেন। এরপর ১১ আগস্ট কার্যতালিকায় আবেদনটি ১৮ নম্বর ক্রমিকে উঠে। সেদিন বিকাল ৩টার পর খায়রুল হকের পক্ষে আবেদন শুনানি করতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সময়ের আবেদন জানানো হয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর আদালত শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন রাখেন।
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলাউদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় খায়রুল হককেও আসামি করা হয়।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়ার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় খায়রুল হককে ভার্চুয়ালি গ্রেফতার দেখানো হয়। বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় দেওয়াসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আদালত তাকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
বাংলা৭১নিউজ/এবি