রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আসন্ন মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকের আগে দুই দেশের সহযোগিতা আরও জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন।
টেলিফোনে দুই নেতা উষ্ণ পরিবেশে কথা বলেন এবং ভবিষ্যতে সহযোগিতা বাড়ানোর ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন। পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে আলাস্কায় বৈঠকের মাত্র তিন দিন আগে তাদের মধ্যে এই ফোনালাপ হলো। ২০২১ সালের পর এই প্রথম কোনো বর্তমান মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি বৈঠক হতে যাচ্ছে। ট্রাম্পের লক্ষ্য তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো।
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে এবং যুদ্ধ প্রচেষ্টায় অস্ত্র সরবরাহ করছে। গত মাসে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে কিম মস্কোকে যুদ্ধের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
মঙ্গলবারের ফোনালাপে পুতিন কুরস্ক মুক্ত করার ক্ষেত্রে কোরিয়ান পিপল’স আর্মির সৈন্যদের আত্মত্যাগী মনোভাবের প্রশংসা করেন। জবাবে কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া ভবিষ্যতেও রুশ নেতৃত্বের নেওয়া সব পদক্ষেপে পূর্ণ সমর্থন দেবে।
ক্রেমলিনও ফোনালাপের সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে, পুতিন আসন্ন ট্রাম্প বৈঠক সম্পর্কে কিমকে অবহিত করেছেন। শুক্রবার আলাস্কায় ওই বৈঠকে ট্রাম্প রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করেছে। গত বছর পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরে দুই দেশ পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো স্বীকার করে যে তারা ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর সঙ্গে একটি সেনা ইউনিট পাঠিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে পিয়ংইয়ং রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা, সঙ্গে গোলাবারুদ, ক্ষেপণাস্ত্র ও দীর্ঘপাল্লার রকেট ব্যবস্থা পাঠিয়েছে।
সিউলের দাবি, যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ৬০০ সেনা নিহত ও আরও কয়েক হাজার আহত হয়েছে।
সূত্র: এএফপি
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ