গত সরকারের সময়ে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও মালয়েশিয়ায় যেতে না পারাদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়োগ দিচ্ছে মর্মে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যারা ফ্লাইট না পেয়ে ৩১ মে এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেনি, তাদের নিয়োগ দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিমকে অনুরোধ করেছিলেন।
তার পরিপ্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করে কর্মীর নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে। একই বিষয়ে মালয়েশিয়া সফরকালে বাংলাদেশের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
সদ্য অনুষ্ঠিত তৃতীয় বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যৌথ ওয়ারকিং গ্রুপের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে জুলাই মাসের মধ্যেই তাদের নিয়োগ শুরু করা হবে। মালয়েশিয়া তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে একটি এসওপি বাংলাদেশ দূতাবাসে দেয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাস সেটি বোয়েসেলের কাছে পাঠায়। বোয়েসেল এসওপি বিষয়ে একমত পোষণ করেছে মর্মে বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়া সরকারকে জানিয়ে দেয়।
মালয়েশিয়া সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আটকে পড়াদের নিয়োগদান শুরু করেছে। পুনরায় যেন প্রতারিত ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে না হয় এজন্য এই স্পেশাল প্রক্রিয়ায় শুধু বোয়েসেলের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে মালয়েশিয়া। উল্লেখ্য, ৩১ মে ২০২৪ এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিকার দাবি করে।
বাংলা৭১নিউজ/এবি