বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

ইসরায়েলকে বাদ দিয়ে আরব সফরে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

মে মাসের মাঝামাঝি সময়েই মধ্যপ্রাচ্যের তিন প্রভাবশালী দেশ—সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার এই সফরসূচি নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।

লেভিট জানান, ১৩ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত সৌদি আরব, কাতার ও আমিরাতে অবস্থান করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আগে, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে শুক্রবার রোমে রওনা হবেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি হবে তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।

ট্রাম্প এবার যে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন, তা এক দশক আগের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন। তার প্রথম মেয়াদের শুরুর সময়কার উত্তপ্ত ও অস্থির অঞ্চল এখন অনেকটাই পাল্টে গেছে। চীনের কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার টানাপড়েন অনেকটাই প্রশমিত, ইয়েমেনের দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধও প্রায় শেষের দিকে। তাছাড়া, আইএস এখন আর আগের মতো ভয়ঙ্কর হুমকি হিসেবে টিকে নেই। তবে নতুন বাস্তবতাও একাধিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফরের সূচিতে ইসরায়েলের অনুপস্থিতি রাজনীতিতে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। গাজা পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের হুমকির প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের ইসরায়েলকে সফর তালিকায় না রাখা বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। আরব বিশ্ব এরই মধ্যে গাজার উপর ইসরায়েলি অবরোধ ও বোমাবর্ষণ বন্ধে সোচ্চার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পুনর্গঠনের বিষয়ে আরব লিগের আপত্তিও আলোচনার বড় বিষয় হয়ে উঠেছে। 

 ট্রাম্পের এই সফরে কূটনৈতিক আলোচনা ও বোঝাপড়ার অন্যতম অগ্রাধিকার হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। অন্যদিকে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই উপসাগরীয় ধনী দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অধিক বিনিয়োগে উৎসাহিত করে আসছেন। বর্তমানে বৈশ্বিক মুদ্রানীতি ও বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই বিনিয়োগ আকর্ষণের বিষয়টি নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে।

তেহরান-ওয়াশিংটন সংলাপ নিয়ে আরব বিশ্ব ইতোমধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানালেও, সেই আলোচনায় অচলাবস্থার আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশ্লেষকেরা। যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়, তাহলে ট্রাম্প ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে পুনরায় আরব মিত্রদের শক্তিশালী সমর্থন চাইতে পারেন। ফলে এই সফর শুধু প্রতীকী নয়, মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক হয়ে উঠতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com