সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড চৌদ্দগ্রামের তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা ঘোষণা ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্টকে শক্তিশালী করতে ১০ বছরের প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে’ নিরাপদ খাদ্যের অভাবে রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগছে না: খাদ্য উপদেষ্টা রাষ্ট্র সংস্কারের সব বিষয়ে আমরা একমত হবো না: আলী রীয়াজ অন্তর্বর্তী সরকারের সুচিন্তিত নীতির ফলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমছে: প্রেসসচিব কারিগরি শিক্ষার কোনও বিকল্প নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা কেন ‘জুলাই’ অনিবার্য হয়ে উঠেছিল, জানালেন আসিফ মাহমুদ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরবে : মির্জা ফখরুল

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫
  • ১৭ বার পড়া হয়েছে

চলতি বছর নানা দিক থেকেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। বছরের শুরুতেই নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হওয়ার পর এবার আরও বড় ধাক্কা এল আইনি লড়াইয়ে। প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি হারাতে চলেছেন তিনি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সাইফ আলি খানের করা একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এই আবেদনের মাধ্যমে তিনি পতৌদি পরিবারের সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে, যখন মধ্যপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে, ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের সম্পত্তি ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট, ১৯৬৮’-এর আওতায় শত্রু সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়, নবাবের বড় মেয়ে আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকাপাকি ভাবে পাকিস্তানে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন।

এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ২০১৫ সালে সাইফ আলি খান হাইকোর্টে আবেদন করেন। বেশ কিছু বছর ধরে মামলায় স্থগিতাদেশ থাকলেও, ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালত সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। অবশেষে ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বিচারপতিরা সাইফের আবেদন পুরোপুরি খারিজ করে দেন।

ভারত সরকার ১৯৬৮ সালে ‘এনেমি প্রোপার্টি অ্যাক্ট’ চালু করে, যার আওতায় ভারত-পাকিস্তান বা ভারত-চীন যুদ্ধের সময় শত্রু রাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া বা সেখানকার নাগরিক হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের ভারতে থাকা সম্পত্তিকে ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং তা সরকার অধিগ্রহণ করে।

ভোপালের শেষ নবাব হামিদুল্লাহ খানের মেয়ে আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যাওয়ায়, সরকার তাদের উত্তরাধিকারী সম্পত্তিকেও এই আইনের আওতায় আনতে চায়। যদিও হামিদুল্লাহ খানের অন্য কন্যা, সাজিদা সুলতান ভারতের নাগরিক ছিলেন এবং সাইফ আলি খানের দাদী ছিলেন। সাজিদার উত্তরসূরি হিসেবে সাইফ ওই সম্পত্তির মালিকানা দাবি করেন।

২০১৯ সালে আদালত সাজিদাকে বৈধ উত্তরাধিকারী ঘোষণা করলেও, আবিদার পাকিস্তান যাওয়ার বিষয়টি সামনে এনে সম্পত্তিকে শত্রু সম্পত্তি হিসেবে দাবি করে সরকার।

বর্তমানে আদালতের রায়ের ফলে পতৌদি পরিবারের বিপুল এই সম্পত্তি সরকারের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সাইফ আলি খানের আইনি লড়াই এখানেই শেষ, নাকি তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন— তা এখনো জানা যায়নি।

বাংলা৭১নিউজ/একেএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com