ইরানে ভয়াবহ ইসরায়েলি হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের এই অভিযানের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি আগেই অবগত ছিলেন, তবে এতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কোনো ধরনের ভূমিকা রাখেনি বলেও স্পষ্ট করেছেন তিনি।
ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী। তিনি মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক বোমা থাকতে পারে না এবং আমরা আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আশা করছি।
মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জানিয়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিবের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আন্তোনিও গুতেরেস ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অবস্থা নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চলাকালীন তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলি হামলায় বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।’
মুখপাত্র আরও বলেন, মহাসচিব উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যেকোনো মূল্যে গভীর সংঘাতে ডুবে যাওয়া এড়িয়ে চলতে বলেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর এবার পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইরান।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন দাবি করেছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় ইরান ইসরায়েল লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ছুঁড়েছে। আইডিএফ সেগুলো গুলি করে ভূপাতিত করার কাজ করছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরান থেকে ছোড়া ড্রোনগুলো ইসরায়েলের মাটিতে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে এরই মধ্যে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় পাঁচ দফা হামলা চালিয়েছে ইহুদিবাদী সেনারা।
বাংলা৭১নিউজ/এবি