শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৩ বছর পূর্তি উদযাপন ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিরোধীদের শেষ করে দিতে চান মোদী: কেজরিওয়াল কুয়েতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেফতার চিকিৎসাহীনতা : বাত-ব্যথায় ‘অল্প’ বয়সেই ‘বৃদ্ধ’ হচ্ছে মানুষ সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রভাবিত হওয়া যাবে না: ইসি রাশেদা শাহবাগ থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ, আটক ১৩ মোহামেডানকে হারিয়ে কিংসের পঞ্চম শিরোপা কেনা সনদের তালিকা প্রস্তুত, জমা দেওয়া হবে কারিগরি বোর্ডে : হারুন বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কমেছে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব : হানিফ পল্টনে কুড়িয়ে পাওয়া শপিংব্যাগে ককটেল বিস্ফোরণে কিশোর আহত তিন সঞ্চালন লাইন চালু করল পিজিসিবি কোথাও জলাবদ্ধতা হলে হটলাইনে কল করতে বললেন মেয়র কুয়েতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংসদ ভেঙে দিলেন আমির চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম আমের বাগান বিক্রিতে হিমশিম বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির শ্রদ্ধা অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্স কার্ড থেকেও ‘অ্যাড মানি’ করা যাচ্ছে বিকাশে

জরুরি অবস্থা জারির আশঙ্কায় জাতিসংঘে যাননি সু চি!

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ না দিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। স্বভাবতই বলা হচ্ছিল, রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর চলা বর্বরতা নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনার এড়াতে চাইছিলেন বলেই সু চি সেখানে যাননি। এবার জানা গেলো, সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কাতেই সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেননি সু চি!

থাইল্যান্ড থেকে মিয়ানমারের কিছু নির্বাসিত সাংবাদিক দ্বারা পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতির এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার জবাব দেয়ার চেয়েও দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বেশি চাপের মুখে ছিলেন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চি। ফলে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ না দিয়ে মিয়ানমারেই থেকে গিয়েছিলেন সু চি।

রাখাইনে সহিংসতা শুরুর সময় থেকেই দেশটির প্রেসিডেন্ট তিন চ্যেও ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা অভিযানের সময় রাখাইনে জরুরি আইন জারি করতে চেয়েছিলেন। সু চি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে গেলে সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেনাবাহিনী জরুরি অবস্থার জারি করতে পারত। কিন্তু রাখাইনে সংকট শুরুর প্রথম দিন থেকেই সু চি জরুরি অবস্থা জারির বিরোধিতা করে আসছেন।

মিয়ানমারের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ মুইন্ট সয়ে একজন সাবেক শীর্ষ জেনারেল এবং থেইন সেইন সরকারের শাসনামলে ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। সাবেক সেনা শাসক জেনারেল থান শয়ের আমলে সেনাবাহিনীর কট্টরপন্থী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন সয়ে। তাকে নিয়েও শঙ্কায় ছিলেন সু চি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আরেক ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও’কে জাতিসংঘে পাঠান সু চি। আর নিজে ভাষণ দেন কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ব্যাংকক থেকে ফিরে এলে সু চি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে পূর্ব-নির্ধারিত সফর বাতিল করেন। এর বদলে যান ব্রুনাইয়ে। সেখানে তিনি বেশ কয়েকজন এশীয় রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যারা কিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সমালোচনা করে আসছিল।

মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধান অনুসারে, দেশটির সেনাবাহিনীও কিছু শর্তসাপেক্ষে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে। তবে সেনাপ্রধানের একক ক্ষমতা থাকলেও ছয় মাস বা তার বেশি সময়ের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে হলে অবশ্যই তাকে দেশটির ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি কাউন্সিলের (এনডিএসসি) অনুমোদন নিতে হয়।

দেশটির বিভিন্ন মহলে এখনও সেনা অভ্যুত্থানের গুঞ্জন রয়েছে। সূত্র: যমুনা টিভি।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com