গুলশানে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী আনিসা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতাদের চাপে রাখতে একটি নির্দিষ্ট মহল অপুদের টার্গেট করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও কাউকে দাবিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে অপুকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসা বলেন, ঘটনার দিন অপু ঢাকাতেই ছিলেন না। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে অবস্থান করছিলেন। আগেই আঁচ করেছিল যে তাকে ফাঁসানো হবে।
তার অভিযোগ, আওয়ামী লীগের এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় জোর করে অপুদের নিয়ে যাওয়া হয়। ভিডিওতে অপুর পাশে রাখা একটি ব্যাগে ১০ লাখ টাকা ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। জোরপূর্বক বেআইনিভাবে টাকা আদায় করলে সেটা চাঁদা হয়। লোকটা নিজ থেকে এসে অপুর পাশে ব্যাগটা রেখেছে। অপু কোনোদিন কারো কাছ থেকে একটাও চাঁদাবাজি করেনি।
এসময় তিনি শাম্মী আহমেদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, অপু জানতেনই না সেখানে চাঁদাবাজি হচ্ছে। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে মিডিয়া ট্রায়ালের মুখোমুখি করা হচ্ছে।
বিএনপি নেতা ইশরাকের সঙ্গে অপুর সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি জানি না, কিন্তু অপুকে ব্যবহার করে একটি দল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চাইছে।” কোন দল—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা তো সবার কাছে ক্লিয়ার, কিন্তু আমি বলতে পারব না।”
আনিসা অভিযোগ করেন, ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১ আগস্ট সকাল ৭টা পর্যন্ত অপুকে বন্দি করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। “গোপীবাগ কার বাসা? ওটা কি ইশরাক ভাইয়ের বাসা না? অপুকে তো ইশরাক ভাইয়ের বাসার সামনেই ধরা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবির অবস্থানও ওই বাসাতেই বলে দাবি করেন।
অপুর স্ত্রী অবিলম্বে তার মুক্তি ও ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। তার অভিযোগ, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপুকে টার্গেট করে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক নারী এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা আদায়ের অভিযোগে জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৩ আগস্ট ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ভিডিওটি অপুই ধারণ করেছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এবি