নদী ভাঙনের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে নদীপাড়ে বসবাসকারী প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় খাবার পানিসহ খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বন্যার পানিতে ৮ হাজার ৩’শ কৃষকের আমন ধান, হলুদ, ভুট্টাসহ ২ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেলেও জেলায় বন্যার আশঙ্কা নেই।
সূত্রমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। তবে এখনও বিপদসীমার প্রায় ৩৭ সে. মিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে গত ৫-৬দিন ধরে পানি বৃদ্ধির ফলে পদ্মা পাড়ের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এতে প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু জমিতে আশ্রয় নিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের মানুষ। কারণ সেখানে নদী ভাঙনের মধ্যেই শুরু হয়েছে বন্যা। ফলে সেখানকার মানুষদের ভোগান্তি বেড়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী জানান, বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চলের ৮ হাজার ৩’শ কৃষকের ২ হাজার হেক্টর জমির আমন, ভুট্টা, হলুদসহ শাক-সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো নূরুল ইসলাম জানান, চলতি বন্যায় দ্রুত আলাতুলী ইউনিয়নের চর আলাতুলী, আলাতুলী, কোদালকাঠি ও নারায়নপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে এক হাজার পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব জানান, সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর, বাতাসমোড়, পাকার ঘাট, মনোহরপুর, ঝাইলপাড়া, মল্লিকপাড়া ও পোলাডাঙ্গা বিওপিব এলাকার ডান ও বাম তীর মিলে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এখন ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যার পানি কমলে ভাঙন তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পোলাডাঙ্গা বিওপি ও মনোহরপুর এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম