নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ভয়াবহ নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চর ঈশ্বর রায় আফাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং আফাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দ্রুত নদী শাসনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান দুটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠান দুটি হাতিয়ার আফাজিয়া বাজারের পাশে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের সামনেই রয়েছে খেলার মাঠ, মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা। কিন্তু মেঘনা নদীর লাগাতার ভাঙনে এসব স্থাপনাও হুমকির মুখে পড়েছে।
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত আফাজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি হাতিয়ার দ্বিতীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আজহার উদ্দিন মিয়া, তার পিতা আফাজ মিয়ার নামে নামকরণ করেন। এখন নদীভাঙনের ফলে বিদ্যালয় ভবনের একেবারে সন্নিকটে পৌঁছে গেছে নদীর তীব্র স্রোত।
প্রধান শিক্ষক মো. আকরাম উদ্দিন বলেন, নদীর জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে যে হারে ভাঙছে, তাতে খুব শিগগিরই বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করার প্রয়োজন হতে পারে। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক—সবাই সীমাহীন দুর্ভোগে পড়বে। তবে তিনি জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়ের নবগঠিত ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
অন্যদিকে, আফাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রৌশন আক্তার জানান, ভাঙনের কারণে আমরা সবাই দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। বিদ্যালয়টি যদি দূরে স্থানান্তরিত হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার সমস্যা হবে এবং ভর্তি সংকট দেখা দেবে।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার জানায়, নদী ভবনের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। প্রতিদিন ক্লাস করতে ভয় লাগে। আমরা নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে চাই
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে মেঘনার ভাঙন বৃদ্ধি পায়। তবে এবছর ভাঙনের মাত্রা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি। এতে বাজারসহ আশপাশের এলাকাও হুমকির মুখে পড়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত সরেজমিন পরিদর্শন শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ