বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জুলাই সনদের খসড়ায় বিএনপির সায়, জামায়াত-এনসিপির দ্বিমত বাংলাদেশে ২৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে হংকংভিত্তিক হান্ডা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফায় বাণিজ্য আলোচনা শুরু মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে আমরা বদ্ধপরিকর : প্রধান উপদেষ্টা যুবসমাজ শুধু ভবিষ্যৎ নয়, আমাদের বর্তমান শক্তি একজনকে ৫৪ বছর ধরে পূজা করা হয়েছে: জাতির পিতা ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম ঝাড়খণ্ডে বাস-ট্রাকের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১৮ পুণ্যার্থী নিহত হাসিনার অডিওগুলো শুনলে দেখবেন এখনও সে প্রতিশোধপরায়ণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে কোনো সংস্কারই কাজে আসবে না : মির্জা ফখরুল বৃহস্পতিবারের মধ্যে জুলাই সনদের জায়গায় পৌঁছাতে পারব

বৃষ্টি-জোয়ারে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে ২০ হাজার মানুষ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বলিরপোল-নাছিরগঞ্জ সড়কটি অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারের পানির চাপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গভীর খালে পরিণত হয়েছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় ২০ হাজার বাসিন্দা। পাশের ক্ষেতের কোমরপানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মানুষজনকে। এছাড়া একই কারণে উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়কগুলো ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা দেয়। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে। বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে বাড়ির যাওয়ার জন্য সাইকেল কাঁধে উঠিয়ে এক শিক্ষার্থীকে সাঁকো পারাপার হতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জানায়, নাছিরগঞ্জ-বলিরপোল সড়কের আশপাশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সড়কটি ঘেঁষেই পূর্বপাশে খাল রয়েছে। এতে অতি জোয়ারের সময় প্রত্যেকবারেই সড়কটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি এখন প্রায় ৩০ ফুট প্রস্থ খালের আকার ধারণ করেছে। এ কারণে সড়কটিতে চলাচলকারী মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সড়কের পশ্চিম পাশের কোমড় পানি মাড়িয়ে কষ্ট করে সবাইকে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

স্কুল শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়-বাড়ি যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছে। আশপাশের কাঁচা সড়কগুলোও খারাপ অবস্থা, এতে সেসব রাস্তাগুলোও ব্যবহার অনুপোযোগী। কেউ একজন অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত সময়ে হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ নেই। সড়কটি বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান বলেন, তীব্র জোয়ারের চাপে রোববার ভোরে সড়কটি ভেঙে যায়। পরে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভাঙনটি খালে পরিণত হয়েছে। আমাদের মসজিদের রাস্তাটিও ভেঙে গেছে। এখন আমরা মসজিদেও যেতে পারছি না। কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি ঠিক করে দিলে অথবা একটা কালভার্ট করে দিলে আমরা চলাচল করতে পারবো।  

গ্রাম্য চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সড়কটি ভাঙার কারণে এ অঞ্চলের জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। একজন রোগী খুবই অসুস্থ, সে আমার ফার্মেসিতে যাবে, কিন্তু যেতে পারেনি। এখন আমাকেই আসতে হয়েছে। কোন প্রসূতিকে জরুরি হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি সংস্কার করলে জনগণের দুর্ভোগ কমবে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে যেতে পারবে।

শিক্ষার্থী রায়হান আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ভাঙনটি বড় ছিল না। ছুটি শেষে এসে দেখি ভাঙনটি খালে পরিণত হয়েছে। এখান দিয়ে এখন যাওয়ার সুযোগ নেই। এজন্য সাইকেলটি কষ্ট করে উঠিয়ে সাঁকো পার হয়ে মানুষের বাড়ির ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, সড়ক বিচ্ছিন্নের ঘটনাটি জেনেছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসককে সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে আমাকে বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হয়েছে।

স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ার হওয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা করব এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করব, যেন পানি যাওয়ার একটি ব্যবস্থা হয়। সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমরা অবহিত করব।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com