কোনো সংস্থাকে এখন থেকে সরকারি জমি আর প্রতীকী মূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে না। সরকারি জমি নিতে চাইলে উপযুক্ত মূল্য দিয়ে নিতে হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সভাকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয় এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
জানা গেছে, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে নীতিগত অনুমোদনের জন্য চট্টগ্রামের জলিল টেক্সটাইল মিলসের ৫৪ দশমিক ৯৯ একর জমি সেনাবাহিনীকে দেওয়ার প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। প্রতীকী মূল্য ধরা হয় ১৭ কোটি টাকা। মূলত বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এটি ব্যবহার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তারা (সেনাবাহিনী) নিতে চেয়েছে। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, প্রতীকী মূল্যে দেওয়া হবে না। এখন সরকারি জমি কোনো সংস্থাকে প্রতীকী মূল্যে দেওয়া হবে না। জমি নিতে চাইলে অর্থ দিয়ে নিতে হবে। কারণ, প্রতীকী মূল্যে জমি দিলে এর যথাযথ ব্যবহার হয় না। অনেক ক্ষেত্রে ১০ একর জমির প্রয়োজন থাকলেও প্রতীকী মূল্যের কারণে ১০০ একর জমি দরকার বলে জানানো হয়।’
জানা গেছে, ক্রয় কমিটির বৈঠকে চট্টগ্রামের পরিত্যক্ত ‘জলিল টেক্সটাইল মিলের’ প্রায় ৫৫ একর জমি লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে সেটি সামরিক বাহিনী নিতে চায় বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, আমরা অনুমোদন দিয়েছি বিক্রি করার জন্য। এখন তারা (সেনাবাহিনী) প্রস্তাব দেবে, কত দামে নেবে।
জলিল টেক্সটাইল মিলসের জমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি-এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তাদেরকেই দেওয়া হবে, তবে মূল্যটা নির্ধারণ করে প্রস্তাব আসতে হবে।
বৈঠকে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে ১৬২ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন দেওয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এইচপি ও এনজে চায়না প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এছাড়া সার ও এলএনজি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুই কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। মোট ব্যয় হবে ৯৮৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
এর একটি হচ্ছে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধিসংক্রান্ত এবং অপরটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ। দুটি প্রস্তাবের ব্যয় সরকারি ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ