বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের এক সাংবাদিককে দেশত্যাগে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেশের সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরোধ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তানি সাংবাদিক সাইরিল আলমেইদা মঙ্গলবার এক টুইটার বার্তায় বলেন, ‘বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ তালিকায়’ তার নাম অন্তর্ভূক্ত রয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে।
আলমেইদা সম্প্রতি তার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সরকার দেশটির সামরিক প্রধানদের ব্যাপকভাবে সতর্ক করে বলেছে, দেশীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়বে। সরকার অবশ্য এ খবর প্রত্যাখান করে বলেছে, এটা ‘বানোয়াট গল্প’।
পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর তিন দফা সামরিক অভ্যূত্থানের প্রেক্ষিতে দেশটির বেসামরিক সরকার ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে প্রায়ই টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। তবে এখনকার সময়টা খুবই স্পর্শকাতর।
কারণ এ মুহূর্তে ভারত তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন কাশ্মীরের সেনা চৌকিতে হামলা চালিয়ে দেশটির ১৮ সৈন্যকে হত্যার জন্য পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করছে। এছাড়া ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএস জইস-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার মত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে মদদ দিচ্ছে।
পাকিস্তানি সাংবাদিক আলমেইদা গত ৬ অক্টোবর দেশটিতে ইংরেজি ভাষার দৈনিক ডনে একটি প্রতিবেদন লেখেন। অজ্ঞাত সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সভাপতিত্বে আইএসআই প্রধান রিজওয়ান খানের সঙ্গে বৈঠকে সূত্ররা উপস্থিত ছিল বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য সরকারি সদস্যরা আইএসের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে সুনির্দিষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ঘাটতির ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা সামরিক প্রধানদের সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তানের আন্তর্জাতিকভাবে এক ঘরে হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী খবরের সত্যতা তীব্রভাবে নাকচ করে দেন।
আলমেইদার মঙ্গলবার দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। তবে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে জানানো হয়, তিনি দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ