শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যৌতুকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভা রাশিয়ায় অভিবাসী হোস্টেলে আগুন, নিহত অন্তত ৮ পারিবারিক সম্পদে বোনদের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর লালমনিরহাট রেলওয়ের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান বান্দরবানে কুকি-চিনের দুই সদস্য নিহত জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী ১২০ কি.মি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১১ দফা দাবি না মানলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নৌযান শ্রমিকদের ডিবি কার্যালয়ে কলকাতার তদন্ত সংশ্লিষ্ট স্পেশাল টিম ঋণের চাপে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যা করেন আলী হোসেন চূড়ান্ত হচ্ছে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছে সরকার : প্রতিমন্ত্রী বিএনপি ষড়যন্ত্র নির্ভর দল: নানক সহকারী কর কমিশনারের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলা গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আনারের খুনিদের প্রায় চিহ্নিত করে ফেলেছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণ ছাড়া এককভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয় : তাজুল ইসলাম এমপি আনার হত্যার তদন্তে দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলেও কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস চার্জার লাইটের ভেতরে ৫ কোটি টাকার সোনা, ২ বিদেশি গ্রেপ্তার

অর্থপাচার মামলা : তারেক রহমানের ৭ বছর জেল, জরিমানা ২০ কোটি টাকা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ২০ কোটি টাকা অর্থদন্ড দিয়ে হাইকোর্ট আজ রায় ঘোষণা করেছে।

এ মামলায় তারেক রহমানের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদন্ড বহাল রাখা হয়েছে। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদন্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিচারিক আদালতের সাজার রায়ের বিপক্ষে মামুন আপিল করেছিলেন। আপিলে সাজা বাতিলের আবেদন জানানো হয়েছিলো।

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। আটক অথবা আত্মসমর্পণের দিন থেকে তারেক রহমানের সাজা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।

নিম্ন আদালতে তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল এবং দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ জুন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখে আদেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট। মামলাটি দায়ের থেকে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ আরও দুর্নীতি, রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।

খালেদা জিয়ার ছোটছেলে আরাফাত রহমান কোকোও অর্থ পাচারের একটি মামলায় দন্ডিত হয়েছিলেন। কারাদন্ডাদেশ মাথায় নিয়ে বিদেশে অবস্থানরত অবস্থায় গতবছর কোকো মৃত্যুবরণ করেন।

তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিলের আবেদন করে। শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট দুদকের আপিল গ্রহণ করে আসামি তারেককে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়।

আদালতের আদেশে তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ ও আপিলের বিষয়ে অবহিত করতে গত ২০ ও ২১ জানুয়ারি দু’টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। চার্জশিটে থাকা দুই ঠিকানায় (লন্ডন ও ঢাকা) সমনের নোটিশও পাঠিয়েছে বিচারিক আদালত।

ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ নির্মাণ কনষ্ট্রাকশনস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন মামুন।

২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ‘বিভিন্ন পন্থায়’ ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে মামুনের অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা তারেক খরচ করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদন্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।

রায়ে কারাদন্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেয় আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক।

বাংলা৭১নিউজ/এমএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com