বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: সবশেষ বৃহস্পতিবার এ দুই সিটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রায় তিন ঘন্টার এ বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দিন জানান, সভায় সেনাবাহিনী মোতায়েন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ দুই সিটিতে সেনা মোতায়েন করার মতো কোন পরিস্থিতি নেই। তবে সব প্রার্থীদের সমান সুযোগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান ইসি সচিব।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এ দুই সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। তাদের মতে, কথায় কথায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা যথার্থ হবে না। যে কোন কাজে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা রাষ্ট্র এবং সরকারের জন্য শুভকর নয়। তবে বিএনপির প্রার্থীরা বলছেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর সাধারণ ভোটারদের আস্থা নেই। তাই তাদের আস্থা সৃষ্টির জন্য সেনা মোতায়েন জরুরি। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনী যদি সহযোগিতা করে, জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়, তাহলে সমস্যা কোথায়?
সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোর জোট, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়ের খুব একটা নজির নেই। তবে জাতীয় নির্বাচনে সবক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মোতায়েন করা যাবে না, এমনটা নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে, এখন সে ধরনের কোন পরিস্থিতি নেই। তবে পরিস্থিতির জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা যেতে পারে।
এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে গাজীপুর ও খুলনা সিটিতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। চায়ের দোকান থেকে অফিস আদালত, সবখানেই নির্বাচনী আলোচনা। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা চালিয়ে যাচ্ছেন জোর প্রচারণা।
বাংলা৭১নিউজ/আর এস