রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টানা ৮ দফা কমার পর ফের বাড়লো সোনার দাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরকারের পাতানো ফাঁদ: আব্বাস আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২ ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ এবি ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণা রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমাবেশের ডাক ছাত্রলীগের ৮ মের উপজেলা নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ইসি ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের ৪০ বিজিপি সদস্য ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ মৌলভীবাজারে পুলিশের বাধায় ছাত্রদলের মিছিল পণ্ড প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭ পদ্মা-মেঘনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা ‘উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব খাটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার রাশিয়ার সাথে সম্ভাব্য সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো : মস্কো খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ১৪ দিন পর ডেঙ্গুতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হাসপাতালের ভবনের ফাঁক দিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু রোববার থেকে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকাজ

সমৃদ্ধি অর্জনে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৯
  • ১৪০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য সরকারি ও বিরোধী দলসহ সব সাংসদকে সম্মিলিতভাবে যথাযথ ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম দিনে উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে তিনি ভাষণ শুরু করেন। যা শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটের দিকে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দেয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য ব্যতীত শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ পেতে পারে না। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থসামাজিক উন্নয়নের মত মৌলিক প্রশ্নে সকল রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সবার ঐকমত্য গড়ে তোলার সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আমি আহ্বান জানাই।’

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘জাতীয় সংসদ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, পরমসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্ক, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু উন্নয়ন, গ্রামীণ উন্নয়ন, প্রবাসী কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং জন প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিগত সরকারের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নবনির্বাচিত স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় বিরোধী দলের নেতা এইচএম এরশাদ অনুপস্থিত থাকলেও বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদের এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে মধ্য-আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। জাতির প্রত্যাশা হচ্ছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে।’

আবদুল হামিদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘মানবাধিকার, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপায়ণ এবং সমাজের সকল স্তরে প্রত্যক্ষ জন-সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে আমরা নির্ধারিত লক্ষ্যসমূহ অর্জনসহ একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনে সক্ষম হবো।’

৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এবং সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গঠিত বর্তমান নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, যা দেশে-বিদেশে সব মহলে প্রশংসিত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে চতুর্থবারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। জনগণের এ রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জননন্দিত নির্বাচনী ইশতেহার সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থনের বহিঃপ্রকাশ। সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত প্রতিশ্রুতিসমূহ বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন সুসংহত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কুখ্যাত ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা এবং যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় কার্যকর করা হয়েছে।’

লাষ্ট্রপতি আরো বলেন,  ‘বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক সব সূচকে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের উপরে রয়েছে। চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক আট-ছয় শতাংশ। বাংলাদেশ আজ জিডিপি ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্ব-অর্থনীতিতে ৩৩তম এবং জিডিপির আকারের ভিত্তিতে ৪১তম।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে। অপরদিকে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।’

আবদুল হামিদ উল্লেখ করেন, ‘জাতীয় বাজেটের আকার এবং রাজস্ব আহরণের পরিমাণ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রমবর্ধমান রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থে আমরা পদ্মা সেতু এবং ফ্লাইওভার নির্মাণসহ অনেক বৃহৎ প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে দেশে ও বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে মোট এক কোটি ৩৪ লাখের অধিক এবং বিদেশে প্রায় ৮০ লাখ কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার কর্মী বিদেশে গমন করায় প্রায় ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে।’

রাষ্ট্রপ্রধান উল্লেখ করেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিতকল্পে সরকার এক লাখ ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’ তিনি বলেন, ‘মাদক, জঙ্গিবাদ ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

আবদুল হামিদ আরো বলেন, ‘সাইবার অপরাধ দমনের জন্য মনিটরিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।’

বাংলা৭১নিউজ/একে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com