বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ছাত্রলীগ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির ৮ নেতাকর্মীকে হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আরিফুল ইসলাম আরিফ, একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের কাজী তানভীর আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শামস-ই-তাবরিজ প্রান্ত, আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আহসান হাবিব সজীব, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের আবু ইউনুস।
এদিকে এ ঘটনার পর তিন দিন অতিবাহিত হলেও ছাত্রলীগ ওই নেতার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
‘ঘটনা তদন্ত হচ্ছে’ এমন দায়সার বক্তব্য দিয়ে চলছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।
কত সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে বা কমিটিকে কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে এসব বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারেননি সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বলেছি ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে।’
এ বিষয়ে জানতে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসানকে ফোন করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স কল রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিজয় একাত্তর হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফের সঙ্গে হলের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ইসমাইল নামের এক শিক্ষার্থীর ধাক্কা লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দফায় দফায় ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এতে ওই শিক্ষার্থী কয়েকবার বমি করেন। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনার পরদিন শুক্রবার হল প্রশাসন সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটজনকে হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস