বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মাছ ধরার ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে। পরে হাড় হিম করা ঠান্ডায় তার গোসল কিংবা পছন্দের কুকুরগুলোর সঙ্গে সময় কাটানোর ছবিও ব্যাপক আলোচিত।
সেই পুতিনের দেশ এখন আনন্দে মশগুল। স্কুল-কলেজ-অফিস থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটেও একটাই আলোচনা। কোন শহরে কবে কোন ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মস্কোর লুঝনিকি থেকে কালিনিনগ্রাদ, স্পারটেক স্টেডিয়াম থেকে সেন্ট পিটার্সবাগ। কফির কাপ হাতে হোক, কিংবা গিটারে গুনগুন, রাস্তাজুড়ে আলোচনা একটাই, ফুটবল।
তার মধ্যেই মন ভাল নেই অনেকের। কারণ রাস্তায় বেরিয়ে আর প্রিয় কুকুরটিকে আশপাশে দেখতে পাচ্ছেন না। রাশিয়ার সোচি শহরেই মিলেছে বেশ কয়েকটি কুকুরের মরদেহ। কিন্তু কেন?
প্রদীপের নিচে যেমন অন্ধকার। এও কি তেমনই? বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাস্তা সাফ করতে হবে। সে কারণেই নাকি কুকুর নিধন চলছে রাশিয়ায়। জানা গেছে, বিশ্বকাপের আগেই রাস্তার কয়েক হাজার কুকুরকে মেরে ফেলা হয়েছে রাশিয়ার ১১টি শহরে। যাকে বলা হচ্ছে ‘বায়োলজিক্যাল ট্রাশ’ সাফাই অভিযান।
ভিন দেশের অসংখ্য নাগরিক গেছেন রাশিয়ায়। শহরজুড়ে উৎসবের আমেজ। এরই মাঝে এতগুলো কুকুর নাকি বিশ্বকাপ দর্শনার্থী প্রশাসনের বিরক্তির কারণ হয়ে উঠেছিল, আর তাই ফুটবলের আসর জমার আগে থেকেই বিষাক্ত খাবার খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে কয়েক হাজার কুকুরকে।
খুব ধীরে ধীরে য্ন্ত্রণা না পেয়েই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছে নিরীহ প্রাণীগুলো। তারপরই সরিয়ে ফেলা হয়েছে মরদেহ।
সরকারের তরফ থেকে যদিও বলা হয়েছে, পথের কুকুরদের অস্থায়ী আশ্রমে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাস্তার কুকুরদের কারণে সমস্যা তৈরি হলেও মোটেও মেরে ফেলা হয়নি। তাদের সরানো হয়েছে অস্থায়ী আশ্রমে।
কারণ শহরে ভিনদেশি অতিথিরা রয়েছেন। অতিথিদের নিরাপত্তার খাতিরেই অস্থায়ী আশ্রমে রাখা হয়েছে কুকুরগুলোকে। বিশ্বকাপের শেষেই নাকি মিলবে মুক্তি। যে শহরগুলোতে বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানে কুকুরদের জন্যই আশ্রয়স্থল খুঁজে দিতে চাইছে প্রশাসন। রাস্তাঘাটে কোনো কুকুরকেই দেখা যাচ্ছে না। এটা খুব একটা স্বাভাবিক নয়।
ফিফার একজন মুখপাত্র বলেন, ফিফা এবং স্থানীয় সংগঠন কমিটি পশুদের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করতে পারে না। এরকম কিছু যাতে না ঘটে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমাদের এই দায়িত্ব মনোযোগিদিয়ে পালন করতে হবে।
লিওনেল মেসি, মেসিত ওজিলের মতো ফুটবল তারকা কিংবা স্বয়ং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রায়ই প্রিয় সারমেয়দের সঙ্গে দেখা গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয় পোষ্যটির সঙ্গে প্রায়ই ছবি পোস্ট করেন মেসি। সারমেয় নিধনের খবরে অনেকেই উদ্বিগ্ন। সূত্র: এরাবিয়ান জার্নাল।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস