বাংলা৭১নিউজ, নাজিম বকাউল, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালীতে নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্লার সমর্থক শিশু খাঁর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুকের সাথে ভোট চাওয়া নিয়ে সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০জন। এদের মধ্যে আশাংকাজনক অবস্থায় আহত ৫জনকে ঢাকা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত রবিবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক মোঃ ওমর ফারুককে আটক করা হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠে। হাজার হাজার সমর্থক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সদরপুর থানা ঘেড়াও করে বিক্ষোভ শুরু করে। একই সময় ঢাকা-খুলনা মহা সড়ক বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মুজিবর রহমান নিক্ষন চৌধুরী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সকলের আলাপ আলোচনায় চেয়ারম্যানকে মুক্তি দিলে পরিস্থিতি স্বভাবিক হয় মধ্যে রাতে।
স্থানীয়রা জানান, সাবেক এমপি, আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নৌকার প্রার্থী কাজী জাফর উল্লার সমর্থক শিশু খাঁর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক ঢেউখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুকের সাথে ভোট চাওয়া নিয়ে সংর্ঘষ বাধে। এতে দুই পক্ষের প্রায় ৩০জন সমর্থক আহত হয়। পরে চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক থানায় এসে অভিযোগ দিতে আসলে তাকে আটক করা হয়।
বর্তমান এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেন, আমার সমর্থকদের সাথে নৌকার সমর্থকদের সাথে সংর্ঘষ হয়। পরে পুলিশ আমার এক জনপ্রিয় চেয়ারম্যানকে আটক করে। খবর পেয়ে আমি তিন থানার জনগন সাথে নিয়ে প্রশাসনকে বোঝাতে সক্ষম হই যে আমার চেয়্যারম্যানের কোন দোষ নেই। তারা সেটা বিবেচনা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার পর পিয়াজখালী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যে কোন পরিস্থিতি এড়াতে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস