বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: আদালত থেকে পালানো পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের সাবেক উপব্যবস্থাপক (সাময়িক বরখান্ত) মো. আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে তিন বছরের সশ্রস কারাদ-ের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়। ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আতাউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদ-ের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার অর্থ আগামী ১১ জুনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে জমা প্রদান পূর্বক চালানের কপি আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যর্থতায় রাষ্ট্রপক্ষ আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে জরিমানা আদায় করতে পারবে মর্মে রায়ে বলা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি মো. আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। দুদকের উপপরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় কমিশন। তিনি অনুসন্ধান শেষে আসামির বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের সুপারিশসহ কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর দুদক আসামিকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ করে। ২০১০ সালের ২ মে দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীর স্বাক্ষরে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ ইস্যু করা হয়। ৪ মে আসামি নিজে স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ গ্রহণ করেন। ১১ মে আসামি সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরও সাত দিন সময় চেয়ে কমিশনে আবেদন করেন।
কমিশন তার আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য আরও সাত কার্য দিবস সময় দেয়া হয়। ২৩ মে বর্ধিত সময়ের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৮ জুন কমিশন আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর অনুমোদন দেয়। ২৯ জুন রাজধানীর ধানম-ি থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে এ মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে রীট করেন আসামিপক্ষ। সেই রীট ভ্যাকেট হওয়ার পর ২০১১ সালের ১ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম এ মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।
এরপর মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। বিচার পর্যায়ে রোববার মামলার যুক্তিতর্কের দিন আদালতে হাজিরা দেন আসামি আরশাদ হোসেন। তবে জামিন বাতিল হতে পারে শংকায় তিনি শুনানি শুরুর আগেই আদালত থেকে পালিয়ে যান। ওই দিনই তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস