বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নির্বাচন পদ্ধতি সুষ্ঠু রাখার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
সদ্য নিযুক্ত এ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের পর যে বক্তব্য দিয়েছিলাম, আজও একই বক্তব্য আমাদের।’
দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ওই বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
কূটনীতিকদের মধ্যে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত, অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার, পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার, তুরস্কের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারিরা।
বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আমিন খান প্রমুখ।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছি- যদি ২০ তারিখ (ডিসেম্বর) থেকে সেনাবাহিনী মোতায়ন করা হয়, তাহলে এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হচ্ছে, তা হবে না।’
বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ মূলত সেরকম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। আমরা এবার নির্বাচনে যাচ্ছি, তার জন্য ইশতেহার ঘোষণা করেছি, সেটা ছিল বাংলায়। আজ বিদেশি কূটনীতিকদেরকে ইংরেজিতে আমাদের ইশতেহার দিয়েছি।’
বিএনপি নেতা রিপন বলেন, ‘ইশতেহারের মূল বিষয়— আমরা কী করতে চাই, তা তাদেরকে (কূটনীতিকদের) জানিয়েছি। এছাড়া, আমরা কীভাবে বাধার মুখোমুখি হচ্ছি, হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের শিকার হচ্ছি, তাও জানিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, তারা (বিদেশি কূটনীতিক) নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে খুব সিরিয়াস। আর আমাদের যে কয়েকজন নারী প্রার্থী ছিলেন, তারা সবাই সম্প্রতি আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এসব বিষয়ে আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি।’
বৈঠকে অংশ নেয়া ঐক্যফ্রন্ট নেত্রী জেবা আমিন খান জানান, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ড. কামাল হোসেন ও নজরুল ইসলাম খান কূটনীতিকদের বিফ্রিং করেছেন। নির্বাচন নিয়ে দেশে যা হচ্ছে, সরকারি দল বিরোধী দলকে মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না এবং মামলা-হামলার বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। বিভিন্ন হামলার ভিডিও ফুটেজও দেখানো হয়েছে তাদের।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে