টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি করা হয়েছে। সেই বাস থামাতে গুলি বর্ষণ করেছে পুলিশ। ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আহত নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ চন্দ্রকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডাকাত দলের সদস্য সোহেল রানাকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ফ্লাইওভারের কাছে আব্দুল্লাহ পরিবহণে ডাকাতি করা হয়।
গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার রাজিউর রহমান জানান, রাজশাহীগামী আব্দুল্লাহ পরিবহণের বাসে যাত্রীবেশে উঠে পড়ে ৫/৬ ডাকাত। তারা সুযোগ বুঝে চলন্ত অবস্থায় বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। বাসে থাকা যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণাঙ্কারসহ মালামাল লুট করে।
পরে বাসটি টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা হতে ঘুরিয়ে ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে বাসের বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ওই বাস থামানোর জন্য সিগনাল দিলেও সেটি দ্রুত চলে যায়। এ সময় মহাসড়কের দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির চেকপোস্ট ভেঙে ফেলে।
বাসটি নিয়স্ত্রণ করতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য এক রাউন্ড গুলি করে। এরপরও বাসটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। পরে গোড়াই ফ্লাইওভারে পুলিশ বাসটি আটক করতে পারে এবং এক ডাকাতকে আটক করা হয়। এর আগে ওই বাসে যাত্রী হিসেবে থাকা নৌপুলিশের এসআই সুভাষ চন্দ্র ডাকাতদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করার সময় আহত হয়। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার ডাকাত সদস্য সোহেল রানা ও বাসটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, বাসসহ সন্দেহভাজন একজন থানা হেফাজতে রয়েছে। বাসের চালক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ