বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ বিষয় মূল্যায়ন ও অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় বোর্ডের ফল প্রক্রিয়াকরণে চতুর্থ বিষয় বিবেচনা না করায় এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরতে আজ সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি আরো বলেন, ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হওয়ায় এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় বোর্ডের ফল প্রক্রিয়াকরণে চতুর্থ বিষয় বিবেচনা করা হয়নি। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। চতুর্থ বিষয় ছাড়া গত বছরের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থী ও এবছরের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যায় তেমন পার্থক্য নেই।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় নানামুখী সংস্কার করে চলেছে। এরমধ্যে উন্নত বিশ্বের মতো শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় কিছু বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এ কাজটি পরীক্ষার্থীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান করে।
উল্লেখ্য, এ বছর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২৮ হাজার ১৯০ জন। আর গত বছর পেয়েছিল ৮০ হাজার ৮৯৮ জন। ব্যবধান অনুযায়ী এ বছর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২ হাজার ৭০৯ জন কমেছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস