বাংলা৭১নিউজ, সিলেট: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের আগেই সিলেট সফরে আসছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাল ঢাকা থেকে সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে তার। হজরত শাহজালাল (র.) ও হজরত শাহপরান (র.)-এর মাজার জিয়ারত করে রাতটি সিলেটেই কাটাবেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার সফরের খবরে উজ্জীবিত সিলেট বিএনপি। তবে এ সফরকে ঘিরে প্রশাসন নানা বাধানিষেধ আরোপ করায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম ও সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আজমল বখত সাদেক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া সোমবার সকালে গুলশানের কার্যালয় থেকে গাড়িবহর নিয়ে সড়কপথে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেবেন। পথে বিভিন্ন স্পটে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাবেন। তিনি সিলেট পৌঁছাবেন ওইদিন বিকালে। পরে হজরত শাহজালাল (র.) ও হজরত শাহপরান (র.)-এর মাজার জিয়ারত করবেন। সিলেটেই রাত্রিযাপন করবেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দলীয় প্রধানের সফর উপলক্ষে মাইকিং করা, তোরণ নির্মাণ ও ব্যানার-ফেস্টুন টানানোর অনুমতি চাইলেও প্রশাসন তা দেয়নি। এমনকি স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্কে বিজ্ঞাপন দিয়ে নেত্রীর সফরের বিষয়টি প্রচার করতে চাইলেও রহস্যজনক কারণে তাও করতে দেয়া হচ্ছে না।
নেতারা জানান, সার্কিট হাউসের বুকিংয়ের জন্য জেলা প্রশাসকের বাসায় গিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়নি। দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া সিলেট সফরকালে মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার কথা। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর সিলেট সফরে এসেছিলেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার সফরকে সফল করার জন্য বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ এবং মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত মঙ্গলবার সিলেটে মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার একইভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস