বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে পাকিস্তানভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষস্থানীয় নেতা জুনাইদ মাট্টু নিহত হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শুক্রবার এই ঘটনা ঘটলেও শনিবার তা প্রকাশ করে পুলিশ। একই সঙ্গে জানানো হয়, ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে আনা হয়েছে। কাশ্মীরের বেশ কিছু হামলার সঙ্গে জুনাইদ জড়িত বলে পুলিশের অভিযোগ।
কাশ্মীরের দক্ষিণে শুক্রবার সকালে ভারতীয় বিশেষ বাহিনী এসওজি এবং সিআরপিএফ যৌথ অভিযান চালায়। অনন্তনাগ এলাকার আরওয়ানি গ্রামের একটি বাড়িতে জুনাইদরা লুকিয়ে রয়েছে বলে আগে থেকেই তাদের কাছে তথ্য ছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় বাড়িটিতে জুনাইদ ছাড়াও দু’জন অবস্থান করছিল।
অভিযানে জুনাইদসহ ৩ জনই নিহত হন। তাদের কাছ থেকে একে-৪৭ সহ তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে গুলিবর্ষণের সময় দু’জন গ্রামবাসীও নিহত হন বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। এদের মধ্যে এক কিশোরও রয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুরো এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শ্রীনগর, ত্রাল, পাম্পোরে, পুলওয়ামা শহরসহ কাশ্মীরের দক্ষিণের অনেক জায়গায় বিক্ষোভ ও ভাংচুরের খবর পাওয়া যায়। ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশের উপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
বিকেলে পৃথক হামলায় ভারতের ৬ পুলিশ সদস্য নিহত হন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বিকেলে টহলে থাকা পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে অন্তত ১৫ সদস্যের একটি দল গুলি ছোড়ে। কর্তৃপক্ষ দাবি করে, এই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হাত রয়েছে।
পরে অবশ্য লস্করের মুখপাত্র আবদুল্লা গজনভি এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেন। জানান, মাট্টুর হত্যার বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী কাশ্মীরিদের গায়ে হাত তোলা বন্ধ না করা পর্যন্ত এই ধরনের হামলা চলবেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস