বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম স্বাদু পানির হ্রদ চট্টগ্রামের কাপ্তাই লেক খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। লেকের অপরূপ সৌন্দর্য ও মৎস্য সম্পদ আহরণের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
লেকটি খননের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে রাঙামাটি থেকে থেগামুখ পর্যন্ত নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য নৌ মন্ত্রণালয়ে গত মার্চে যাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যেই মূলত কাপ্তাই বাঁধ দেয়া হয়। এ বাঁধের ফলে পরবর্তীতে তা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম লেক হিসেবে পরিচিতি পায়। মৎস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে বাঁধটি। তবে অবৈধ দখল, দূষণ, পলি ভরাটসহ নানা কারণে লেকটি স্বকীয়তা হারাতে বসেছে। এজন্য এটি খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং বলেন, সরকার এ বিষয়ে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
কমিটির আরেক সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, বৈঠকে কাপ্তাই লেককে ব্যবহার করে আরও মৎস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে বেশি সংখ্যক পোনা অবমুক্তকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলায় বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য জেলাসমূহের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসকদের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ দিয়ে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্ট চার্চ মসজিদে এবং ইস্টার সানডেতে শ্রীলংকার চার্চ ও হোটেলে বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/এম.আর