বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস চালু হলে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছুতে ৩৬ ঘণ্টা লাগতে পারে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।
ঢাকা থেকে নেপালের রাজধানীগামী পরীক্ষামূলক বাসটি বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে এখন কাঠমান্ডুর পথে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ সেটি নেপালের রাজধানীতে গিয়ে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি দফতরের একদল কর্মকর্তাসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে পথ চলা এই বাসের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিসের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে দেখা।
কর্মকর্তারা বলছেন, যাত্রী পরিবহন, যাত্রীবাহী বাস ও মালামালের জন্য কার্গো পরিবহন সুবিধা – তিনটি বিষয়কেই তারা বিবেচনার মধ্যে রাখছেন।
চলন্ত বাসে বসেই বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সড়ক পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভুইয়া জানান, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্তের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার।
বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। সবশেষে কাঁকরভিটা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।
সব মিলিয়ে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যেতে ১১০৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে বলে তিনি বলেন।
এতে মোট ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।
এই পথটুকুর জন্য অন্তত তিনবার যাত্রা বিরতি করতে হবে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।
কিন্তু এই দীর্ঘপথে যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্দেহ রয়ে গেছে।
ফরিদ আহমেদ ভুইয়া বলেন, শিলিগুড়ি এবং কাঁকরভিটার সীমান্তে ইমিগ্রেশন এবং বিশ্রামের সুবিধে আরও বাড়াতে হবে বলে তার মনে হচ্ছে।
পাশাপাশি এই তিন দেশের ইমিগ্রেশনের মধ্যেও সমন্বয় জোরদার করতে হবে বলে তিনি মনে করছেন।
কবে নাগাদ এই বাস সার্ভিস চালু হবে সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা এখনও কোন ধারণা দিতে পারছেন না ।
তারা শুধু এটুকুই বলছেন যে তিন দেশের মধ্যে প্রটোকল স্বাক্ষরের পর এই সার্ভিস চালু হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
বাংলা৭১নিউজ/বিবিসি/জেড এইচ