মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শহরের নিম্নমধ্যবিত্তদের গৃহ নির্মাণে ৩১৮৪ কোটি দেবে আইডিবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা সরকার ও রাজনীতিবিদদের সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে এরশাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি: জি এম কাদের শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন ফারুক বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ছুটিই থাকছে স্কুল-মাদরাসা তিউনিশিয়ান কেমিক্যাল গ্রুপের সঙ্গে বিএডিসির চুক্তি সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হবে শ্রম আইন আফগানিস্তানে মসজিদে বন্দুক হামলা, নিহত ৬ শাড়ি পরেই লোকটিকে বেধড়ক মারধর করি: লারা দত্ত ব্যবসায়ী সাবের হত্যার প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৬ বুধবার থেকে কমতে পারে তাপমাত্রা শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছে না, মানবেতর জীবনযাপন করছে : ফখরুল খায়রুল কবির খোকনের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই লেভানডোফস্কির হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনার জয় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপজেলা নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠনের নির্দেশ ইসির ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আরও ইউরোপীয় দেশ

উত্তরাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লবিত, আরও ৬ জনের মৃত্যু

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১৬
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অপরিবর্তিত থাকলেও অনেক জায়গা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তার মধ্যে গাইবান্ধা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট। লাখ লাখ পানিবন্দি মানুষ এখনও ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। রোববারও তিন জেলায় বন্যার পানিতে ডুবে নারী-শিশুসহ মারা গেছে ছয় জন। উত্তরের পানি নামতে শুরু করায় ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে বন্যা। মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও মাদারীপুর জেলার অনেক জায়গায় বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে তীব্র নদীভাঙন।

শ্রীনগরের ভাগ্যকুল ও লৌহজংয়ের মাওয়া পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার শ্রীনগর, লৌহজং, টঙ্গিবাড়ী ও সদর উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী গ্রামসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়নের তালুক বুড়াইল (চুনিয়াকান্দি) এলাকায় রোববার দুপুরে আলাই নদীর সোনাইল বাঁধ ধসে বোয়ালি, বাদিয়াখালি, সাঘাটার পদুমশহর, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া এবং উদাখালীর বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে তলিয়ে গেছে। ফুলছড়ি উপজেলার সব সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সদরের সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১০১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রোববার সকালে মাদারগঞ্জ উপজেলার দাঁতভাঙ্গা সেতুন অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ইসলামপুর উপজেলার চরপুঁটিমারী গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে দুপুরে মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও একই ইউনিয়নের বেনুয়ার চর নয়াপাড়া গ্রামের মরিয়ম বেগম (৫৩) নামের দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। কুড়িগ্রামে পানি কমতে শুরু করলেও নদীভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। উপজেলার অনন্তপুর গ্রামে গত শনিবার নদীভাঙনে মারু চন্দ্র দাস নামের এক ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা গেছেন। ভেসে গেছে এই এলাকার অন্তত ২০টি ঘরবাড়ি ও ৫২টি গবাদিপশু। বিলীন হয়ে গেছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নাগরাকুড়া গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একশ’ মিটার বাঁধ ভেঙে গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চিলমারী উপজেলার সরকার পাড়া গ্রামে রোববার কারেন্ট জাল তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যান ওসমান হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চিলমারী ডিগ্রি কলেজ মাঠসংলগ্ন পুকুর থেকে ফুটবল আনতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় নবম শ্রেণির ছাত্র নাজিম মিঞা (১৪)। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, শাহজাদপুর, চৌহালী ও বেলকুচি উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুড়াসাগর এবং গোহালা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শাহজাদপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলার মৈত্রবড়হর গ্রামের হুমায়ুন ইসলামের মেয়ে হাফজা (৩) ও কালিপুর গ্রামের সেলিম হোসেনের মেয়ে তৃষা (২) বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। এছাড়া গত শনিবার পাট জাগ দেওয়ার সময় সাপের ছোবলে মারা গেছেন মাটিকোড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম (৪০)। আর ধনবাড়ীতে ঝিনাই ও বৈরান নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মুশুদ্দি ইউনিয়নের কসাইবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে মুশুদ্দি, পাইস্তা, বলিভদ্র, ধোপাখালি ও হাদিরা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কসাইবাড়ী বাঁধের প্রায় ১২শ’ মিটার তলিয়ে গিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

এছাড়া, আড়িয়াল খাঁর প্রবল তোড়ে উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের পূর্ব কাকৈরে বহেরাতলা বাজার রক্ষা বাঁধের একশ’ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সন্ন্যাসীরচর, চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ির চার শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জাজিরা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব নওডোবা, বড়কান্দি ও কুরেরচর ইউনিয়নের অনেক এলাকা ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথলী-পাটুরিয়া সংযোগ সড়কের একাংশে রোববার দুপুরের পর পানি উঠেছে। জেলার ৩০টি ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, চরজৌকুড়া, বেনিনগর, রামকৃষ্ণপুর, চরনারায়ণপুর, বড়চর বেনিনগর, মৌকুড়ি, সিলিমপুর, বরাট ইউনিয়নের কাশিমনগর, নয়নসুখ, গোপালবাড়ি, উড়াকান্দা, ভবদিয়া, পাকুরিয়া, কালুখালী উপজেলার ২০টি গ্রাম নতুন করে প্লবিত হয়েছে। পদ্মার ভাঙনে উপজেলার চকরাজাপুর, দিয়ারকাদিরপুর, চৌমাদিয়া ও আতারপাড়া গ্রামের সহস্রাধিক আবাদি জমি ও বিভিন্ন ধরনের গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মিঠামইনের চরপাড়া, রাজীবপুর, শান্তিপুর, মহিষেরকান্দি এলাকা ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com