সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রেমালের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি থাকবে, কমবে তাপমাত্রা তাণ্ডব চালাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল রেমালের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড উপকূল উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী উদ্যোগের জন্য নির্বাচিত দপ্তর-সংস্থার মাঝে শিল্পমন্ত্রীর সনদ বিতরণ নিবন্ধিত সব সোনার দোকানে ইএফডি যন্ত্র বসাতে চিঠি কৃষির উন্নয়নে খাল খননের সুপারিশ ফায়ার সার্ভিসের চলমান সাফল্য ধরে রাখতে হবে: ডিজি ‘রিমাল’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে যা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত জবি অধ্যাপকের মৃত্যু সোমবার চট্টগ্রাম শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ঢেউয়ের তোড়ে প্রাণ গেলো যুবকের তেল আবিবে বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হামাসের ঘূর্ণিঝড়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি: শিক্ষামন্ত্রী পরিবারসহ বেনজীরের আরও ১১৩ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ ‘পর্যটন কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়াকে স্বাগত জানানো হবে’ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তিনদিনের পর্যটন মেলা ঝুঁকিপূর্ণ ঈদযাত্রা বন্ধে কঠোর থাকবে হাইওয়ে পুলিশ : শাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিএসএমএমইউ ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাক্ষাৎ শপথ নিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি নায়েব আলী জোয়াদ্দার

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশমতো অর্থ ছাড় করেছে নিউইয়র্ক ফেডারেল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬
  • ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ লুটের ঘটনায় ফের নিজেদের দায় প্রত্যাখান করল মার্কিন যুক্তরষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক। রিজার্ভ ব্যাংক বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো নির্দেশনাগুলো সঠিক(অথেনটিক) হওয়ায় অর্থ ছাড় করা হয়েছে।

মোট ৩৫টি আদেশের মাধ্যমে অর্থ ছাড় করার জন্য আদেশ পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। ৫টি আদেশের বিপরীতে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থ স্থানান্তরের আদেশে প্রক্রিয়াগত কোন সমস্যা ছিল না। বাকি ৩০টি আদেশ সঠিক পদ্ধতিতে না করায় তা আটকে দেওয়া হয়। আটকে দেওয়া আদেশগুলোতে ৯৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানান্তরের জন্য বলা হয়েছিল। এতে নিউইয়র্ক ফেডের কোন দায় নেই।

একারণে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি থেকে বেঁচে গিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ক্যারোলিন ম্যালোনির কাছে লেখা এক চিঠিতে নিউইয়র্ক ফেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট থমাস বাক্সটার এ দাবি করেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করেছে সংঘবদ্ধ দেশি-বিদেশি একটি চক্র। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, এর মধ্যে ১৯.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলংকা থেকে ফেরত আনা গেছে। আর ৮১ মিলিয়ন ডলার রয়েছে ফিলিপাইনে।

কিন্তু এই প্রথম ফেডারেল রিজার্ভ বলছে, সেদিন ৯৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা স্থানান্তরের জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ফিলিপাইনের পত্রিকাগুলো বলছে, সেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এত পরিমাণ অর্থ না থাকায় ফেডারেল রিজার্ভের সন্দেহ হয়। পরে সেই অর্থের ছাড় আটকে দেয় ফিলিপাইন।

কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক দাবি করছে, অর্থ ছাড়ে ৩৫টি আদেশ পাঠানো হয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভে। কিন্তু তদন্ত দল কম্পিউটারের ফরেনসিক তদন্ত করে দেখতে পায় আদেশ গিয়েছিল ৭০টি। এসব আদেশে টাকা স্থানান্তরের নির্দেশ ছিল প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার। এ পরিমাণ অর্থ ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সে দিন ছিল না। এ কারণে লেনদেনে সন্দেহ হয় ফেডারেল রিজার্ভের।

বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় অর্থ জমা রাখে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব অর্থ এক জায়গায় না রেখে বিভিন্ন মুদ্রায়, বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়। আমদানি-রফতানি বিল পরিশোধ, সকারি কাজের বিলসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশ থেকে অর্থ না পাঠিয়ে এসব অ্যাকাউন্টে থাকা অর্থ দিয়ে পরিশোধ করা হয় সকল দায়। নিউইয়র্ক ফেডেও বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

সেই অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরিয়ে নেয় একটি চক্র। এরমধ্যে ৮১ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলিপাইনে। বাকি ২০ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয় শ্রীলংকায়। তবে, প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ভুল হওয়ায় সেই অর্থ ছাড়ের আদেশ আটকে দেয় শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক অর্থ জগতে এত বড় একটি ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সুইফট সিস্টেম ও নিউইয়র্ক ফেডের দায়িত্ব নিয়ে আলোচনার জন্ম দেয়। প্রশ্ন উঠে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে।

এরই প্রেক্ষিতে নিউইয়র্ক ফেড এ ঘটনা কিভাবে দেখছে তা জানতে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ক্যারোলিন ম্যালোনি গত ১৪ এপ্রিল আইনি চিঠি দেয় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ককে। সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে নিউইয়র্ক ফেড।

চিঠিতে বাক্সটার বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন অনুসরণ করায় পাঁচটি আদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ স্থানান্তরের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। বাকি ৩০টি অনুরোধ সঠিক পদ্ধতিতে না করায় তা আটকে দিয়ে মোট ৯৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরির হাত থেকে রক্ষা করা হয়।

ফেডের এই কর্মকর্তা চিঠিতে আরো বলেন, নিউয়র্ক ফেডের লেনদেন প্রক্রিয়াটির পদ্ধতি এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্রাহকের চাহিদামত কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। কার কাছে অর্থ পাঠানো হচ্ছে তাও বিচার-বিবেচনা করা হয়। কিন্তু, অর্থ ছাড় করতে সুইফটের মেসেজের মাধ্যমে সঠিকভাবে আদেশ আসলে তা বন্ধ করা হয় না।

তবে প্রতারণা ঠেকাতে অন্যান্য ব্যাংকের মতো আমরাও সুইফট কোড যাচাই করি দেখি। সুইফট থেকে নিশ্চিত বার্তা আসলে তা যাচাইয়ে অন্য কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। তিনি আরো বলেছেন, বিদেশী অ্যাকাউন্টগুলো বেশিরভাগ সময়ই নিউইয়র্ক ফেডকে অর্থ স্থানান্তরের আদেশগুলো ম্যানুয়ালি নয় বরং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে পাঠিয়ে থাকে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ফেডের এই কর্মকর্তা।

অপরদিকে, সুইফট কর্তৃপক্ষও বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়ে দিয়েছে, সুইফট সিস্টেম হ্যাক হয়নি। এতে তাদের কোন দায় নেই।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com